ধূমপানে প্রতিবছর দেশেই মারা যায় এক লাখ মানুষ (ভিডিও)
মাহমুদ হাসান
প্রকাশিত : ১২:৫২ পিএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০২১ রবিবার
ধূমপানের কারণে প্রতিবছর শুধু বাংলাদেশেই মারা যায় এক লাখ মানুষ। অসুস্থ হয় বারো লাখেরও বেশি। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন না হওয়ায় এমন পরিস্থিতি, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তামাকের কারণে সমাজে বাড়ছে অপরাধও। কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে তামাকের ব্যবহার কমানো সম্ভব বলে মনে করেন তারা।
একটি সিগারেটে সাত হাজারের বেশি রাসায়নিক পদার্থ থাকে। এর মধ্যে চল্লিশটি উপাদান সরাসরি ক্যান্সারের জন্য দায়ী। যার মধ্যে নিকোটিন অন্যতম। সিগারেটের বিষাক্ত ধোয়া প্রাণীকূলসহ গোটা পরিবেশের জন্যেই ক্ষতিকর।
মানবদেহে ক্যান্সার, কিডনী অকেজো হওয়া, হৃদরোগসহ শতাধিক রোগের সৃষ্টি করে সিগারেটের ধোয়া ও তামাকপণ্য। আইনের প্রয়োগ না থাকায় দিন দিন তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার বেড়েই চলছে বলে জানালেন বিশেষজ্ঞরা।
মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা ‘মানস’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. অরুপ রতন বলেন, ধূমপানের ফলে সাইনোসাইটিস, নাকে সমস্যা, গলায় ক্যান্সার, বুকের মধ্যে একদিকে লাঙ ক্যান্সার অন্যদিকে হৃদরোগ হয়, পেটে হয় গ্যাসট্রিক আলসার-পেপটিক আলসার, পুরুষত্ব ও মেয়েদের গর্ভধারণের ক্ষমতা নষ্ট, মৃত শিশু বা বিকলাঙ্গ শিশু প্রসব করে মায়েরা।’
ধূমপানের কারণে বাংলাদেশে প্রতিবছর ক্ষতি হচ্ছে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। আর এক লাখ মানুষ মারা যাচ্ছে শুধু ধূমপানজনিত রোগে।
ডা. অরুপ রতন বলেন, ‘বছরে ১২ লাখ লোক অসুস্থ হয়, এর মধ্যে প্রায় ১ লাখ লোক মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া প্রায় ৪ লাখ লোক পঙ্গুত্বের শিকার হয়।’
ধূমপান একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই অপরাধ কমিয়ে আনতে কাউন্সিলিং গুরুত্বপূর্ণ।
‘মানস’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বলেন, যারা ধূমপান ছাড়তে চান তারা একটি সাহায্য কেন্দ্র চায়। যে কেন্দ্রটি এখনও আমরা দিতে পারছি না।
ধূমপান ও তামাকের ব্যবহার রোধে এর চাষাবাদ বন্ধ করতে হবে; বাড়াতে হবে বিড়ি-সিগারেটের ট্যাক্স। পাশাপাশি তামাকবিরোধী প্রচারণা জোরদার করলেই ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করা সম্ভব হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এএইচ/