ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৭ ১৪৩১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জহিরুল হত্যায় ১৩ জনের প্রাণদণ্ড

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ০১:৪৬ পিএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০২১ রবিবার | আপডেট: ০২:৩০ পিএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০২১ রবিবার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা জহিরুল হক হত্যা মামলায় ১৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।  

ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান রোববার এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বসু মিয়া, কবির মিয়া, মোখলেস, সাচ্চু মিয়া, জাহাঙ্গীর মিয়া, শহিবুর রহমান শুক্কি, লিয়াকত আলী, ইউনুছ মিয়া, রহমত উল্লাহ ওরফে ফারিয়াজ মিয়া, শিথিল আহমেদ ওরফে ফাহিম আহম্মেদ, সাইফুল, পাবেল ও আলী মিয়া।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নুরুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, রাসেল, মাজু মিয়া, গোলাপ মিয়া, সোহেল মিয়া, শাহজাহান ও বোরহান ওরফে রুহান।

যাবজ্জীবন সাজার পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে এক বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

আসামিদের মধ্যে মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত ফারিয়াজ মিয়া, শিথিল আহমেদ, সাইফুল, পাবেল ও আলী মিয়া পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া উত্তর পৌরতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে অটো রিকশায় করে এসে পয়াগ গ্রামের বাড়িতে ফেরার পথে আক্রান্ত হন জহিরুল হক।

ইউপি নির্বাচনের দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষের কর্মীরা দুটি মোটরসাইকেলে করে এসে রাস্তায় তার পথ আটকে জহিরুলের ওপর হামলা করে। 

পরে লোকজনের সহায়তায় আসামি শিথিল ও ফারিয়াজকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়। সেদিন রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জহিরুল।

ওই ঘটনায় জহিরুলের ছোট ভাই কবির হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২১ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

জহিরুল হক নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

এসবি/