কম্বল পেয়ে বেনাপোলে শীতার্ত মানুষের মুখে হাসি
বেনাপোল প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৩:২৯ পিএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১ সোমবার
অশীতিপর জাহান আলী (৭০) এসেছেন যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার কাগজপুকুর গ্রাম থেকে। শীতের কম্বল পেয়ে স্ফীত হাসি দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘শীতে আমাকে কাহিল করে দিছে। এই কম্বল পেয়ে উপকারের ভাষা কয়ে আমি বুঝোতি পারব না।’
নামাজগ্রামের জয়নব বিবি (৫৫) বলেন, ‘গ্রামের গরিবদের শীতের কষ্ট দেখার লোক নেই। যারা আমাগের মতো গরিব মাইনসের খোঁজ নিয়ে শীতের কাপড় (কম্বল) দেচ্ছে তাগেরে আল্লাহ বাঁচায় রাখুক।’
বড়আঁচড়া গ্রাম থেকে আসা জাহানারা বেগম (৬০) কম্বল পেয়ে বলেন, ‘ডেকে ডেকে কম্বল কয়জনা দেয়? যেটা পেয়েছি তাতেই খুব খুশি হলাম। শীত নিবারণে কিছুটা হলেও উপকার হবে।’
একইভাবে সাদীপুরের সখিনা বেগম (৫৫), সাজেদা বেগম (৬০), ছোট আঁচড়ার জামেরুন নেছা (৭২), ভবারবেড়ের আলী হোসেন (৫৫), নুর নাহার (৫৮), গাজীপুরের জবেদা খাতুন (৪৫) ও সাহিদা খাতুন (৫০) কম্বল পেয়ে খুবই খুশি তারা। এ সময় শীতার্ত মানুষের চোখে-মুখে ছিল খুশি আর আনন্দের উচ্ছ্বাস।
সোমবার বেলা ১১টায় যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানায় বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে ২শ’ শীতার্তের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।
বেনাপোল রেল স্টেশন রোডের সীমান্ত প্রেসক্লাবের সামনে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হক মুকুল। প্রধান অতিথি হিসেবে শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করেন থানার সেকেন্ড অফিসার মাসুম বিল্লাহ।
এনামুল হক মুকুল বলেন, ‘একটি করে কম্বল পেয়ে ২০০ মানুষ যতটুকু উপকার পেল তা অবশ্যই মহতী উদ্যোগ। আমরা চাই এমন কার্যক্রম অব্যাহত থাকুক। বেনাপোলের শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ধন্যবাদ জানাই বসুন্ধরা গ্রুপকে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি বকুল মাহাবুব, বেনাপোল হাইস্কুলের শিক্ষক আব্দুল হাই, সাংবাদিক জামাল হোসেন, সীমান্ত প্রেসক্লাবের সভাপতি সাহিদুল ইসলাম শাহিন, সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব হোসেন পক্ষী, মনির হোসেন, আরিফুল ইসলাম সেন্টু, আসাদুজ্জামান রিপন, লোকমান হোসেন, মুক্তার হোসেন, জাকির হোসেন, সংগ্রাম হোসেন ও ইমরান হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
এএইচ/