ঢাকা, বুধবার   ০৯ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২৪ ১৪৩১

সাধারণ সম্পাদক ছাড়াই নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির কমিটি ঘোষণা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:১৪ পিএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১ সোমবার | আপডেট: ১১:১৮ পিএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১ সোমবার

অপূর্ণাঙ্গ রেখেই ঘোষিত হলো নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতির ২০২২ সালের কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল। নির্বাচনে দুটি প্যানেলে মোট ১১টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে আওয়ামীপন্থী নীল দল ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের মোট ২২ জন প্রার্থী।

সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজি মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়ামে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.এস.এম. মাহবুবুর রহমান।

এসময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুরকে। কিন্তু পরবর্তীতে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদ্বয়ের ভোট সমান হওয়ায় সাধারণ সম্পাদক পদ ঘোষণা স্থগিত করা হয়।
সাধারণ সম্পাদক পদে দুই প্যানেলের প্রার্থীদের ভোট সমান সংখ্যক (১১৮ টি) হওয়ায় দুই প্যানেলের শিক্ষকদের মাঝে এক ধরনের উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শিক্ষক সমিতির  সাধারণ সভায় সিদ্বান্ত গৃহীত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। 

এবিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এস এম মাহবুবুর রহমান বলেন, সাধারণ সম্পাদক পদে দুই প্রার্থীর ভোট সমান হয়েছে, নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সংবিধানে এই বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো আইন নেই। তাই পরবর্তীতে সাধারণ সম্পাদক কিভাবে নির্বাচিত করবে এই সিদ্ধান্ত শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় গ্রহন করবে। নির্বাচন গ্রহনের মাধ্যমে আমরা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন করেছি।

স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ থেকে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল বাশার বলেন, 'অপূর্ণাঙ্গ কমিটির কাছে নির্বাচন কমিশনার দায়িত্ব হস্তান্তর করতে পারেন না। আমি আশা করছি সুষ্ঠু গণতন্ত্র রক্ষার্থে এই পদে পুনরায় নির্বাচন দিয়ে নির্বাচন কমিশন পুর্নাঙ্গ কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন। এছাড়াও নিয়মের ব্যাত্যয় ঘটলে আইনের আশ্রয় নেয়ার কথা জানান এই প্রার্থী।'

নীল দল থেকে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ বলেন, 'আমি চেষ্টা করি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে নিজেকে সংযুক্ত রাখতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও আমার প্রতি আস্থা রেখেছে এজন্য আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। দুই প্রার্থীর ভোট সমান হওয়ায় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় নির্ধারণ হবে কিভাবে সাধারণ সম্পাদক পদে আবার নির্বাচন হবে। আমি আশাবাদী পরবর্তী নির্বাচনেও শিক্ষকরা আমার প্রতি আস্থা রাখবে।'

এদিকে নির্বাচিতদের মধ্যে প্রায় প্রতিটি পদেই নীল দলের প্রার্থীরাই জয়ী।সহসভাপতি পদে ড.মোহাম্মদ নছর মিয়া,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে বাদশা মিয়া,কোষাধ্যক্ষ পদে ড.ফাহদ হোসাইন,প্রচার সম্পাদক পদে সৈয়দ মোঃ সিয়াম ও ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন মারুফ হাসান।

এছাড়াও সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন - মো. মজনুর রহমান, মোহাম্মদ আবদুস সালাম, বিপ্লব মল্লিক ও মো. ছারোয়ার উদ্দিন।
কেআই//