ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৮ ১৪৩১

‘ধর্ষণের পর লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দেয় আশিক’

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০১:২১ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার | আপডেট: ০১:২৩ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার

কক্সবাজারে হোটেলে দুদিন ধরে স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করলে পুনরায় ধর্ষণ করে মেরে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দিয়েছিল অভিযুক্ত মোহাম্মদ আশিক। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র‌্যাবকে এ তথ্য দেয় আসামি আশিক।

মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান অধিনায়ক লে. কর্ণেল খায়রুল ইসলাম সরকার।

খায়রুল ইসলাম সরকার জানান, হোটেলে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের খবর গণমাধ্যমে জানাজানি হওয়ার পর র‌্যাবের একটি দল সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় ধর্ষণে অভিযুক্ত নুনিয়াছড়া এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলামের ছেলে মো. আশিক (২৭)কে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার শহরের পৃথক স্থানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে মামলার এজাহারভূক্ত ৪ নম্বর আসামি উত্তর নুনিয়াছড়া এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে মো. কামরুল এবং শিক্ষার্থীকে জিম্মি রেখে ধর্ষণের ঘটনাস্থল মমস্ গেস্ট হাউজের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহীনকে।

গত ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ওই স্কুলছাত্রী বাড়িতে ফেরার সময় মো. আশিকসহ ৩-৪ জন যুবক জোর করে গাড়ীতে তুলে নিয়ে যায়। পরে শহরের হোটেল-মোটেল জোনের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সামনে অবস্থিত মমস্ গেস্ট হাউজে নিয়ে আসে তাকে। ওই হোটেলটিতে দুদিন জিন্মি রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ ঘটনায় গত ১৮ ডিসেম্বর ভূক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪ জনসহ মোট নয়জনকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলা দায়ের পর বাদীর পরিবারকে হুমকি দিয়ে আসছিল আসামিরা। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রচারিত হয়।

লে. কর্নেল খাইরুল বলেন, সোমবার রাতে মামলার এজাহারভূক্ত প্রধান আসামি চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারায় আত্মগোপন করে অবস্থান করছে এমন খবরে র‍্যাব অভিযান চালায়। এতে মামলার প্রধান অভিযুক্ত মো. আশিককে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান র‍্যাবের এ কর্মকর্তা।

এএইচ/