ঠাকুরগাঁওয়ে নির্বাচনী সহিংসতায় পাঁচশ’ জনের বিরুদ্ধে মামলা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৩১ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার
চতুর্থ দফায় অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁওয়ে মেম্বার প্রার্থীর ভোটের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ভোট পরবর্তী সহিংসতায় একজন নিহতের ঘটনায় অজ্ঞাত পাঁচশ’ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রুহিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ চিত্ত রঞ্জণ রায় মঙ্গলবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত রবিবার নির্বাচনের পর রুহিয়া থানায় রাজাগাঁও ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্র দক্ষিণ আসাননগর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ে দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার তৌকির আহম্মেদ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেছেন। এতে অজ্ঞাত চারশ’ থেকে পাঁচশ’ জনকে আসামী করা হযেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে ওসি জানান, সরকারি কাজেব বাধা, প্রিজাইডিং, সহকারি প্রিজাইডিং এবং পুলিশের উপর লাঠিসোটা দিয়ে আঘাত করার দায়ে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। তবে মমলার তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে সহিংসতার ঘটনায় মামলা দায়েরের পর থেকে গ্রেপ্তার আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। সারা আসাননগর এলাকা ঘুরে দেখা যায় শুনসান নীরবতা। ভোটের পরে জয়ের আমেজও সারা ওয়ার্ডে লক্ষ্য করা যায়নি।
স্থানীয় খোরশেদ আলম বলেন, মামলার খবর শোনা মাত্র এলাকার মানুষের মাঝে গ্রেফতার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এবং এলাকায় পুরুষ শুণ্যতা দেখা দিয়েছে।
রহিমা বেগম নামের এক শ্রমিক বলেন, ভোটকেন্দ্রের গোলাগুলির ঘটনায় আমার খুব ভয় লেগেছে। এখন মামলার কথা শুনে স্বামী সন্তানদের জন্য চিন্তা হচ্ছে। আমরা গরীব মানুষ। আমাদের একদিন কাজ না করলে খাবার জুটবে না। এখন ভোট যেন আমাদের কাল হয়ে দাঁড়ালো। খুব চিন্তায় আছি। আমাদের নিবেদন, পুলিশ যেন শুধু দোষীদের ধরে নিয়ে গিয়ে শাস্তি দেয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ আসাননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি ভোট কেন্দ্রে ‘কেন্দ্র থেকে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনি সরঞ্জাম নিয়ে বের হওয়ার সময় ভোটের ফলাফলকে কেন্দ্র করে পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর লোকজন প্রিজাইডিং, সহকারি প্রিজাইডিং ও পুলিশের উপর আক্রমণ করে। এক পর্যায়ে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। তারপরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় প্রিসাইডিং কর্মকর্তার নির্দেশে গুলি করা হয়।’ এতে স্থানীয় তসীর উদ্দীনের ছেলে হামিদুল ইসলাম(৬৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়।
এ বিষয়ে ওসি চিত্তরঞ্জণ রায় বলেন, সাধারণ নিরপরাধ মানুষদের আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। পুলিশ নির্দেশ কাউকে আটক বা হয়রানি করবে না। তদন্তে যারা প্রাথমিকভাবে দোষী প্রমাণিত হবে তাদেরকেই গ্রেপ্তার করা হবে এবং এলাকার নিরপরাধ মানুষদের জন্য নিরাত্তা আরও জড়ালো করা হবে।
কেআই//