ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৮ ১৪৩১

বেনাপোল-ঢাকা রুটে মিলছে না রেলের টিকিট

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:১৬ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১ বুধবার

ঢাকায় যাবার দশদিন আগেও মিলছে না টিকিট, এ যেন সোনার হরিণ। অথচ নতুন করে ঢাকা-বেনাপোল রুটে চালু হবার পর ট্রেনটির চারটি বগি কমিয়ে দেয়া হয়েছে। এই পরিবর্তনে হতাশ ও ক্ষুব্ধ যাত্রীরা।

করোনার কারণে দীর্ঘ ৮ মাস বন্ধ থাকার পর বেনাপোল-ঢাকা এরুটে রেল চলাচল শুরু হলেও ইন্দোনেশিয়ার অত্যাধুনিক ১২টি বগি কমিয়ে ভারতীয় আটটি বগি যুক্ত করা হয়েছে। ফলে ভোগান্তির পাশাপাশি নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে যাত্রীদের। তবে রেল কর্তৃপক্ষ বলছেন, চলমান সমস্যা সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।

বেনাপোল দিয়ে ব্যবসা, শিক্ষা, ভ্রমণ ও চিকিৎসার প্রয়োজনে প্রতিবছর প্রায় ১৮ লাখ পাসপোর্টযাত্রী ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করে। সড়ক পথে যাতায়াতে দীর্ঘ সময়ক্ষেপণ ও সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে যাত্রীদের দাবি ছিল বেনাপোল-ঢাকা-বেনাপোল রুটে রেল চালুর। 

গুরুত্ব বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের ১৭ জুলাই বেনাপোল-ঢাকা-বেনাপোল রুটে চালু করেন ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’। প্রধানমন্ত্রী নিজেই ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ নামটি পছন্দ করেন এবং এই ট্রেনটি তিনি নিজের হাতে উদ্বোধন করেন। 

এ রুটে ট্রেনটি চালু হওয়ায় সাড়ে সাত ঘণ্টায় বেনাপোল থেকে ঢাকায় পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছিল। বর্তমানে এ ট্রেনটি যাত্রীভারে ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছে। ট্রেনের টিকিট এখন সোনার হরিণ হিসেবে দেখা দিয়েছে। ঢাকায় যাত্রার দশদিন আগেও স্টেশনে টিকিট কাটতে গেলে মিলছে না কাঙ্খিত টিকিট। 

এ কারণে যশোরসহ বেনাপোলের যাত্রীরা ট্রেনটিতে আগের মত ১২টি বগি সংযুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন। যাতে তারা চাহিদা মত টিকিট কেটে নিরাপদে ঢাকায় যাতায়াত করতে পারেন।

যাত্রী মশিউর রহমান জানান, ‘বেনাপোল এক্সপ্রেসে’র পূর্বের রেলটি পরিবর্তন করায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ভোগ করতে হচ্ছে। নামাজের ব্যবস্থা নেই, এসি চেয়ার কোচ নেই, বাথরুম ভালো না। এছাড়া স্টেশনে চাহিদা মত ইয়ার্ড না থাকায় সময় মত পৌঁছায় না।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, বেনাপোলবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহারের রেলটি বর্তমানে উত্তরবঙ্গে নিয়ে গেছেন রেলমন্ত্রী। নিম্নমানের রেল দিয়েছেন বেনাপোল রুটে। বেনাপোল-ঢাকা-বেনাপোল রুটে পূর্বের ট্রেনটি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

বেনাপোল রেল স্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান জানান, ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ ট্রেনটির টিকিটের চাহিদা অত্যধিক। মানুষ নিরাপদে কম সময়ে ঢাকায় যাতায়াতের জন্য এ ট্রেনটি বেছে নিয়েছে। কিন্তু মানুষের চাহিদামত টিকিটের যোগান দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। 

যশোর রেলস্টেশনের মাস্টার আয়নাল হোসেন বলেন, ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ আন্ত:নগর ট্রেনটির ইন্দোনেশিয়ার বগি বদলে গেছে। এখন ৮টি ভারতীয় বগিতে ট্রেনটি চলাচল করছে। কিভাবে বগিগুলো বদলে গেছে সেটা জানা নেই। 

তবে যাত্রীর চাহিদার কারণে বগি বৃদ্ধির বিষয়টি রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলে জানান তিনি। 

এএইচ/