ঢাকা, রবিবার   ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৭ ১৪৩১

মেয়াদোত্তীর্ণ রড দিয়ে সেতু নির্মাণ

মোংলা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:৫০ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১ বুধবার | আপডেট: ০২:৩৫ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১ বুধবার

মেয়াদোত্তীর্ণ মরিচা ধরা রড দিয়ে সেতু নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। বাগেরহাটের মোংলায় সুন্দরবন ইউনিয়নে পাখিমারা খালের ওপর নির্মিত হচ্ছে এই ব্রিজ।

২০১৮ সালের ১৩ জুন ৯০ মিটার এই গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় সরকার (এলজিইডি) বিভাগের কার্যাদেশ অনুযায়ী ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ করার কথা ছিল নির্মাণ কাজ। কিন্তু তিন বছরেও তা শেষ হয়নি।

ব্রিজটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ছয় কোটি ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।  

বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) সরেজমিনে সুন্দরবন ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙ্গাও ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে পাখিমারা খাল পার হচ্ছেন এলাকাবাসী। এই খালের ওপরে ব্রিজের গার্ডার বসানোসহ নির্মিত হচ্ছে ব্রিজ। ব্রিজের কাজে ব্যবহৃত নির্মাণ সামগ্রী সেখানে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। সেখানে রয়েছে মরিচা ধরা রডও। 

এই মরিচা ধরা রড দিয়ে ব্রিজটি নির্মাণ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। 

স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ মাসুদ শেখ, মাসুদ হাওলাদার ও শেখ আসাদুজ্জামান হাওলাদার বলেন, ‘এখানে যে রড আনা হয়েছে তা মরিচা ধরা, পুরানো এবং নিম্নমানের। এই রড দিয়ে ব্রিজের কাজ হলে খুব শিগগিরই ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে, যেহেতু এই রডের টেম্পার নাই।’

এব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আবুল কালাম আজাদ এন্টারপ্রাইজের মালিক আবুল কালাম আজাদের সাথে চেষ্টা করেও তার বক্তব্য জানা যায়নি। তবে কথা বলেন তার ম্যানেজ গোপাল মণ্ডল। তিনি জানান, ‘মরিচা ধরা এই রড ব্রিজের কাজে ব্যবহার হবেনা। আমাদের অন্য সাইডে ছিল, সেখানে জায়গার অভাবে এখানে এনে রাখা হয়েছে।’

সুন্দরবন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইকরাম ইজারদার বলেন, মরিচা ধরা রড দিয়ে ব্রিজ হচ্ছে জানতে পেরে ঠিকাদারের লোকজনকে দ্রুত এই রড এখান থেকে সরিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। 

চেয়ারম্যান ইকরাম আরও বলেন, ‘শুধু এ ইউনিয়ন নয় পার্শ্ববর্তী আরও দুই ইউনিয়নের প্রায় শোয়া লাখ মানুষ এই ব্রিজটি ব্যবহার করবে। তাই, এক্ষেত্রে কোনও অনিয়ম যাতে না হয় সে জন্য নজর রাখছি।’

এলজিইডি বিভাগের মোংলা উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলিমুজ্জামান বলেন, ‘এমনটা হওয়ার কথা না, তারপরও যদি এমনটা হয় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এএইচ/