ঢাকা, বুধবার   ০৯ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২৪ ১৪৩১

ইসি গঠন নিয়ে বিতর্কের অবকাশ নেই: আইনমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:০০ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১ বুধবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে নতুন করে আইন প্রণয়নের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আর খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা সংক্রান্ত পারিবারিক আবেদন নিষ্পত্তি হয়ে গেছে বলেও জানান মন্ত্রী। 

বুধবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব)-এর বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি। 

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘আইনে আছে শর্তযুক্ত, শর্তমুক্ত। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার দরখাস্ত শর্তযুক্ত শর্তে নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। সরকারকে আইনের মধ্যে থেকে কাজ করতে হয়। অনেকে দরখাস্ত পুনর্বিবেচনা করে খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলেন। কিন্তু একটা নিষ্পত্তি করা দরখাস্ত, আইন অনুসারে পুনর্বিবেচনার সুযোগ নেই।

আনিসুল হক বলেন, যে মামলায় খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন সেটি কিন্তু আওয়ামী লীগ করে নাই। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে মামলা হয়েছে। ২০১২ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন সেই মামলার প্রতিবেদন দেয়। মামলাটি চলাকালে অন্তত দশবার মামলা স্থগিত করার এবং বিচারকের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করে তারা। সব কিছুর পর রায় হয়েছে।

আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া যখন সাজা ভোগ করছিলেন তখন প্রধানমন্ত্রী মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দুটি বিশেষ শর্তে সাজা স্থগিত রেখে তাকে মুক্তি দেন।

আনিসুল হক বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হবার আগে এখন ইনকোয়ারির জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সেলে যাচ্ছে। যদি অভিযোগ মামলা করার মতো হয় তাহলে মামলা আদালতে যাবে। আইনের অপব্যবহার যাতে বন্ধ হয়, সেজন্য পদক্ষেপ নিয়েছি। 

নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত এক প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে বলা আছে যে, নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি। তবে গত দুবার নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটা সিদ্ধান্তে এসেছিলেন যে, সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে। দলগুলো নামগুলো দিতে পারবেন।

তিনি বলেন, ১০টি নাম সার্চ কমিটি সুপারিশ করতে পারবে, সেই দশটি নাম থেকে পাঁচজনকে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নিয়োগ দেবেন। এটা অ্যাক্টের ওপরে হয়েছে, এটা আইন না। এটার ওপরে দুটি নির্বাচন হয়েছে। তবে আমিও মনে করি, আইন হওয়া উচিত। সংসদ সদস্যদের পাশ কাটিয়ে কোনো অর্ডিন্যান্স করব না।

তিনি আরও বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ইতোমধ্যে সংলাপ শুরু করেছেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি এই নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এরমধ্যে যেহেতু সংসদে আইন করতে পারবে না, আগে যে পদ্ধতিতে হয়েছে সেই নিয়মে হতে পারে। আমি মনে করি, নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিতর্কের অবকাশ নেই।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। ক্র্যাব সভাপতি মিজান মালিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আরিফের সঞ্চালনায় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

এএইচ/