ঢাকা, বুধবার   ০৯ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২৪ ১৪৩১

অবৈধ সম্পদের মামলায় সাহেদের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দুদকের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:০৩ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১ বুধবার

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করা এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) সাহেদের বিরুদ্ধে এই মামলায় চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দেয় দুদক। গত ৩ মার্চ মামলাটি দায়ের করে দুদক।

মামলা তদন্তের জন্য উপপরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তিনি তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

দুদক সূত্রে জানা যায়, সাহেদ নির্ধারিত সময়সীমা অনুযায়ী সম্পদ বিবরণী দাখিলে ব্যর্থ হন এবং আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ এক কোটি ৬৯ লাখ ১৭ হাজার ৫১৩ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে তা দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কর্মকর্তা আসামি মোহাম্মদ সাহেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় চার্জশিট দাখিলের সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্ত কর্মকর্তার দাখিল করা প্রতিবেদনের সুপারিশের আলোকে দুদক চার্জশিট দাখিলের প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়।

২০২০ সালের ৬ জুলাই র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এই সময় পরীক্ষা ছাড়াই করোনার সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। এরপর ৭ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে রিজেন্ট হাসপাতাল ও তার মূল কার্যালয় সিলগালা করে দেয় র‌্যাব। রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে ওই দিনই উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা হয়। এরপর থেকে সাহেদ পলাতক ছিলেন। ১৫ জুলাই ভোরে ভারতে পালানোর সময় সাতক্ষীরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

হাসপাতালে অভিযানের পর থেকে সাহেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মাধ্যমে ‍দুদকে অভিযোগ আসতে শুরু করে। এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে সংস্থাটি। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা করেছে দুদক।

আরকে//