পালাতে না পেরে বউদিকে ঝুলিয়ে দিলেন দেবর!
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:২৮ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১ বুধবার | আপডেট: ০৬:৩১ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১ বুধবার
বউদিকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ দেবরের বিরুদ্ধে।
বউদির সঙ্গে দেবরের চার বছর ধরে বিবাহবর্হিভূত সম্পর্ক। কিন্তু পাঁচ বছরের সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যেতে রাজি না হওয়ায় সেই বউদিকেই খুনের অভিযোগ উঠল দেবরের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা থানার জামনা এলাকায়। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
সোমবার দুপুরে জামনার বাসিন্দা শ্রীমন্ত মাইতির স্ত্রী মৌসুমির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ঘর থেকে। শ্রীমন্ত পেশায় রাজমিস্ত্রি। সেই সময় বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে কাজে গিয়েছিলেন তিনি। দুপুর দেড়টা নাগাদ বাড়ি ফিরে শ্রীমন্ত দেখতে পান তার স্ত্রীর দেহ ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে। তার চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয় পিংলা থানায়। কিন্তু যে ভাবে মৌসুমির দেহ ঝুলছিল তা দেখে গ্রামবাসী এবং পুলিশের সন্দেহ হয়।
পরে মঙ্গলবার গ্রামের লোকজন শ্রীমন্তর ভাই নীলাদ্রিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, সেই সময় নীলাদ্রি স্বীকার করেন, তিনিই বউদিকে খুন করেছেন। গোবিন্দ ভক্ত নামে ওই এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘আমাদের প্রথম থেকেই নীলাদ্রিকে সন্দেহ হয়েছিল। ওকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে স্বীকার করে, ‘আমি বউদিকে খুন করেছি।’ ওরই খুন করার সম্ভাবনা ছিল।’’
মৌসুমির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। নীলাদ্রির বিরুদ্ধে পিংলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তার দাদা শ্রীমন্ত। ৮ বছর আগে মৌসুমির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তার। নীলাদ্রিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, গত চার বছর ধরে বউদির সঙ্গে তার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল।
আরও জানা গিয়েছে, সম্প্রতি মৌসুমিকে নিয়ে পালিয়ে যেতে চেয়েছিল নীলাদ্রি। কিন্তু বছর পাঁচেকের সন্তানকে নিয়ে তিনি বাড়ি ছাড়তে রাজি হননি। সে কারণেই তাকে নীলাদ্রি শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বলে অভিযোগ।
সব শুনে শ্রীমন্ত বলেন, ‘আমাদের একটা পাঁচ বছরের ছেলে রয়েছে। মৌসুমির সঙ্গে ভাইয়ের যে কোনওরকম সম্পর্ক ছিল তা আগে আমি জানতাম না। কিন্তু মৃতদেহ উদ্ধারের পর জানতে পারি ভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। আমি ভাইয়ের শাস্তি চাই।’ সূত্র: আনন্দবাজার
এসি