দেশে প্রথম চালু হলো নারী শ্রমিকদের ডরমিটরি
মোংলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১০:৫৭ এএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১২:৪৯ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার
ডরমিটরি উদ্বোধন করছেন বেপজার চেয়ারম্যান
কর্মরত নারী শ্রমিকদের আবাসন দূরীকরণে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত মোংলা ইপিজেডে ডরমিটরি (আবাসিক হোটেল) চালু করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বেপজার চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান এই ডরমিটরি উদ্বোধন করেন।
এসময় মোংলা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মাহবুব আহমেদ সিদ্দিক, কমার্শিয়াল অপারেশনের পরিচালক মুহাম্মদ নাজমুল আলম, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও নারী শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।
অবস্থানগত কারণে মোংলা ইপিজেড দূরে হওয়ায় এবং ইপিজেড এলাকায় শ্রমিকদের বসবাসের কোন ব্যবস্থা না থাকায় ডরমিটরিটি চালু করা হয়েছে। ৭৪ হাজার ২৪৪ বর্গফুটের চারতলা বিশিষ্ট এই আবাসিক ডরমিটরিতে একসাথে ১০০৮ জন নারী শ্রমিক থাকতে পারবেন।
বেপজার নির্বাহী পরিচালক (জনসংযোগ) নাজমা বিনতে আলমগীর বলেন, গত ২০১৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বেপজা গভর্নর বোর্ডের ৩৩তম সভায় শ্রমিকদের আবাসান সমস্যার সমাধানে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এটি চালু করা হয়েছে।
দেশের আটটি ইপিজেডের মধ্যে মোংলায় এটিই প্রথম বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এই ইপিজেডের তিন দশমিক আট একর জমির উপর ২৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ডরমিটরি প্রথম পর্যায়ে ইপিজেডের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ভিআইপি এবং জিম লাইট তাদের শ্রমিকদের জন্য বরাদ্দ নিয়েছে।
ডরমিটরিতে শ্রমিকদের জন্য আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত ১২৬টি কক্ষ রয়েছে এবং সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি সিসিটিভি নজরদারির ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানান বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ভিআইপির জিএম মিজানুর রহমান খান।
১৯৯৮ সালে মোংলা ইপিজেডটি প্রতিষ্ঠা করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই ইপিজেডে বাংলাদেশ, জাপান, চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও থাইল্যান্ডের মোট ৩৪টি প্রতিষ্ঠান চালু রয়েছে।
এএইচ/