ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ফুটবলারদের শরীরে ‘ট্যাটু’ আঁকা নিষিদ্ধ করল চীন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৫৬ এএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ শুক্রবার

ফুটবলারদের গায়ে ‘ট্যাটু’ অঙ্কন স্বাভাবিক দৃশ্য। লিওনেল মেসি, নেইমার কিংবা সার্জিও রামোস- তারকা খেলোয়াড়দের শরীরে শোভা পায় নানা ধরনের অঙ্কিত চিত্র। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মতো খুব কম খেলোয়াড়ই রয়েছেন, যাদের শরীরে নেই কোনো ট্যাটু। চীনের তারকা খেলোয়াড়দের অধিকাংশই শরীরে ট্যাটু আঁকিয়ে থাকেন। তবে ‘সমাজে ভালো উদাহরণ তৈরি করতে’ গায়ে ট্যাটু আঁকা নিষিদ্ধ করেছে চীনের প্রশাসন। ইতিমধ্যেই যারা ট্যাটু আঁকিয়েছেন তাদেরও তা মুছে ফেলার কড়া নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ইংলিশ দৈনিক ডেইলি মেইল ও বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক বছরে চীনের সমাজতান্ত্রিক দলের বিশুদ্ধতা অভিযানের অংশ হিসেবে দেশটির ফুটবল কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ নির্দেশের পর থেকে জাতীয় দলের ফুটবলাররা নিয়মিতই শরীরের ট্যাটু ঢেকে মাঠে নেমে থাকেন। চীনের ক্রীড়া প্রশাসন নতুন বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের নতুন ট্যাটু অঙ্কন কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

শরীরে ট্যাটু থাকলে মুছে ফেলার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। বিশেষ পরিস্থিতিতে, অনুশীলন কিংবা টুর্নামেন্টে ট্যাটু ঢেকে মাঠে নামতে হবে।

চীনের তারকা খেলোয়াড়দের বেশির ভাগের শরীরেই ট্যাটু আছে। গুয়াংজু এভারগ্রান্দে ও জাতীয় দলের ডিফেন্ডার ঝ্যাং লিনপেনেংকে এর আগে জাতীয় দল ও ক্লাবের হয়ে মাঠে নামার সময় শরীরের ট্যাটু ঢেকে রাখতে বলা হয়েছিল। সাম্প্রতিক বছরে চীনের সমাজতান্ত্রিক দলের বিশুদ্ধতা অভিযানের অংশ হিসেবে দেশটির ফুটবল কর্তৃপক্ষও এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ নির্দেশের পর থেকে জাতীয় দলের ফুটবলাররা নিয়মিতই শরীরের ট্যাটু ঢেকে মাঠে নেমে থাকেন।

জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব স্পোর্ট অব চায়নার (জিএএস) বিবৃতি, ‘ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে জাতীয় দলের সব পর্যায়ের খেলোয়াড়েরা এ নিয়মের প্রতিফলন ঘটাবেন সমাজে ভালো উদাহরণ তৈরি করতে। জাতীয় দল ও অনূর্ধ্ব-২০ দলের খেলোয়াড়দের নতুন ট্যাটু অঙ্কন থেকে বিরত থাকতে কঠোর নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। যাদের শরীরে ট্যাটু রয়েছে, তাদের সেগুলো মুছে ফেলতে হবে। বিশেষ পরিস্থিতিতে দলের সম্মতির ভিত্তিতে খেলোয়াড়েরা অনুশীলনে কিংবা ম্যাচে ট্যাটু ঢেকে মাঠে নামতে পারবেন।’

জিএএসের বিবৃতিতে বলা হয়, জাতীয় দলের আদর্শগত ও রাজনৈতিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা উচিত। এতে খেলোয়াড়দের দেশাত্মবোধের শিক্ষাটা আরও শক্ত হবে। ২০০২ বিশ্বকাপের পর আর কখনোই বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলতে পারেনি চীন। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ খেলা টিকিটও দেশটির না পাওয়ার আশঙ্কাই বেশি।

এবারই প্রথম নয়, এর আগেও খেলোয়াড়দের লুকস নিয়ে সীমাবদ্ধতা দেখিয়েছে চীনা প্রশাসন। চীনের জনপ্রিয় দৈনিক ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’ এক প্রতিবেদনে বলে, ২০১৮ সালে চীনা ফুটবলারদের মধ্যে যাদের শরীরে ট্যাটু রয়েছে তাদের শরীর ঢেকে মাঠে নামার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। তাছাড়া মেয়েদের চুলে রঙ দেয়া কিংবা ছেলেদের লম্বা চুল নিয়েও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
এসএ/