ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

বিধিনিষেধের মধ্য দিয়ে আরেকটি বর্ষবরণ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০১ এএম, ১ জানুয়ারি ২০২২ শনিবার | আপডেট: ১২:১০ এএম, ১ জানুয়ারি ২০২২ শনিবার

কোভিড বিধিনিষেধের মাঝে নিউ জিল্যান্ডের অকল্যান্ড বিশ্বের প্রথম শহর হিসেবে আতশবাজির মধ্য দিয়ে ২০২২ সালকে স্বাগত জানিয়েছে। শুক্রবার হারবার ব্রিজ, স্কাই টাওয়ার ও অকল্যান্ড মেমোরিয়াল মিউজিয়ামে রাত ৯টা থেকে ছিল আলোকসজ্জা। মধ্যরাতে এগুলো আলোতে জ্বলমল করে ওঠে।

অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়া ২০২১ সালকে বিদায় জানিয়েছে সিডনি সৈকতে আতশবাজির মাধ্যমে। পুরোনো স্টাইলেই তারা শুরু করেছে নববর্ষ বরণের উৎসব। আতশবাজি দেখতে সিডনি ব্রিজের বিভিন্ন পয়েন্টে ভিড় করেছে মানুষ। বিশ্বজুড়ে টিভিতে প্রচার হয়েছে সে দৃশ্য।

কিন্তু প্যারিস, লন্ডন, কুয়ালালামপুরসহ বিশ্বজুড়ে আরও অনেক জায়গাতেই নতুন বছরকে বরণ করতে আতশবাজির আনন্দ আয়োজন বাতিল করা হয়েছে। কারণ, ২০২১ সালে টিকার কারণে কোভিডের থাবা কমলেও করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের জেরে পূর্ণ আনন্দ নিয়ে মানুষের ২০২২ সাল উদযাপনের আশায় ছেদ পড়েছে। সব কিছুই করা হচ্ছে সীমিত পরিসরে, বিধিনিষেধের মধ্য দিয়ে।

বিশ্বে প্রথম আতশবাজি শুরু হয় ঘড়ির কাটা ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে অকল্যান্ডে। যদিও তা ছিল সীমিত। হারবার ব্রিজ ও স্কাই টাওয়ারে আতশবাজির পরিবর্তে উজ্জ্বল আলো জ্বলে ওঠে।

মধ্যরাতে কয়েকহাজার কিশোর-কিশোরী ওয়ালিয়ামসন পার্কে জড়ো হয়। পার্কের প্রতিটি কোণে পুলিশের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। করোনাভাইরাস মহামারিতে টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে নিউ ইয়ার উদযাপনের আয়োজন সীমিত করা হয়েছে। এবার উচ্চ সংক্রমণশীল ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিস্তারে অনেক স্থানেই আয়োজন বাতিল করা হয়েছে।

বিশ্বের বিভিন্ন শহরে এই উৎসবের মুহূর্তে মানুষকে ঘরে থাকতে বাধ্য করা হলেও নিউ জিল্যান্ড মানুষের জমায়েত হওয়ার ক্ষেত্রে শিথিলতা এনেছে।

আন্তর্জাতিক মান সময়ের তারতম্যের কারণে নতুন বছরকে আগে বরণ করার সুযোগ পায় এমন দেশগুলোর একটি নিউ জিল্যান্ড। নতুন বছরকে আমন্ত্রণ জানানোর উৎসবে মেতে ওঠার ক্ষেত্রে বড় শহরগুলোর মধ্যে অকল্যান্ডের সুযোগ আসে সবার আগে।

বাংলাদেশেও রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় আতশবাজির মধ্য দিয়ে নববর্ষকে বরণ। কঠোর বিধিনিষেধের মাধ্যমে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয়। পুলিশ-র‌্যাব, সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে মোতায়েন করা হয়, যাতে কেউ জমায়েত হতে না পারে।

যুক্তরাষ্ট্রে নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে গোল্ডেন বল পতনের আয়োজন এবারও আছে। কিন্তু সেই আয়োজনের কাউন্টডাউনে উপস্থিত মানুষের সংখ্যা এবার অনেক কম থাকছে। টাইমস স্কয়ারে সাধারণ সময়ে বর্ষবরণের আয়োজনে উপস্থিত হয় ৫৫ হাজার মানুষ। এবার সেখানে মাত্র ১৫ হাজার লোক সমাগমের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। 

তারওপরও জুড়ে দেওয়া হয়েছে কিছু শর্ত। প্রত্যেকের টিকা নেওয়া এবং মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে অনুষ্ঠানে। আর লস অ্যাঞ্জেলসে গ্র্যান্ড পার্কের কাউন্টডাউন অনুষ্ঠান এবার বাতিল করা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যে ওমিক্রন আতঙ্কে একাধিক জায়গায় স্বাস্থ্যবিধি জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে স্কটল্যান্ড, নর্দান আয়ারল্যান্ডের মতো জায়গাও। জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। এর আগে বড়দিনে রেকর্ড কোভিড সংক্রমণ হয় ইংল্যান্ডে। এর জেরে লন্ডনের ট্রাফালগার স্কয়ারে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।

পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ধীরে ধীরে ২০২১ সালকে বিদায় এবং ২০২২ সালকে বরণ করে নেবে পুরো বিশ্ব। প্রশান্ত মহাসাগরের দেশগুলো থেকে শুরু করে এশিয়া, ইউরোপ এবং সর্বশেষ আমেরিকার দেশগুলো নতুন বছরকে বরণ করে নেবে। 

এসি