ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

করোনার মৃদু উপসর্গ? কী খাবেন, কোনগুলো নয়?

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ১২:৫৬ পিএম, ২ জানুয়ারি ২০২২ রবিবার | আপডেট: ০১:০৮ পিএম, ২ জানুয়ারি ২০২২ রবিবার

কম উপসর্গ বা উপসর্গহীন করোনার রোগীরা সাধারণত বাড়িতেই চিকিৎসা নেন। অর্থাৎ নিভৃতবাসে সঠিক যত্নেই সেরে উঠছেন তারা। এজন্য অবশ্য পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া দাওয়া করাটা জরুরি। জেনে নিন করোনা আক্রান্ত হয়ে নিভৃতবাসে থাকাকালীন কোন খাবার খাবেন, কোনগুলো নয়।

১) এই সময় চিনি একেবারে বাদ দিন খাবার থেকে। মিষ্টির বিকল্প হিসাবে খেজুর খেতে পারেন। মৌসুমি ফল খান প্রচুর পরিমাণে।

২) লবণ খেলেও দৈনিক তা ৫ গ্রামের বেশি খাবেন না। লবণে আছে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম। যা রক্তচাপ বৃদ্ধি করে। এই সময় রক্তে যেহেতু অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমতে থাকে, সেহেতু লবণ উচ্চরক্তচাপের মতো বিপদ ডেকে আনতে পারে।

৩) দিনে দু'বারের বেশি চা খাবেন না। বেশি বার চা খেলে শরীরে পানির  অভাব ঘটে। সাধারণ চায়ের বদলে ভরসা রাখতে পারেন গ্রিন টি-র উপরে।

৪) রোজকার খাদ্যতালিকায় থাকুক দুধ। দুধে অরুচি থাকলে অবশ্যই টক দই খান। দুধ, দই ইত্যাদি প্রোবায়োটিক জাতীয় খাবার শরীরে থাকা ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।

৫) এই সময় পিএইচ যুক্ত খাবার বেশি করে খান। শরীরের পিএইচ এর মাত্রা কম থাকলে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। মুসুম্বি, পাতিলেবু, পাকা পেঁপে, আমন্ড, আনারসে আছে প্রচুর পরিমাণে পিএইচ।

৬) আদা-রসুন-পেঁয়াজ-হলুদ এই সময় প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। পেঁয়াজে আছে ভিটামিন সি, সালফার, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম। রসুনে আছে ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম। আদায় আছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান। এই চারটি মশলা জাতীয় খাবার শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে।

যেগুলো একেবারেই খাবেন না

১) বাসি কোনও খাবার এই সময় ভুলেও খাবেন না। সব সময় গরম খাবার খাওয়াই ভাল। খাওয়ার আগে খাবারটি গরম করে নিয়ে তবেই খান।

২) নিভৃতবাসে থাকাকালীন ফ্রিজের খাবার একদম নয়। শরীরের আর ফ্রিজের তাপমাত্রা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এই দুই ধরনের তাপমাত্রা শরীরে ভাইরাস-ব্যাক্টেরিয়াকে আরও সক্রিয় করে তোলে।

৩) এই কয়েকটি দিন কোনও বাহারি রান্না নয়। তেল-ঝাল-মশলাদার রান্না সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলুন। আধসিদ্ধ নয়, পুরোপুরি রান্না করা খাবার খান এই সময়।

৪) করোনা আক্রান্ত হলে অ্যালকোহল সম্পূর্ণ ভাবে এড়িয়ে চলুন। এই সময় যে ওষুধগুলি চলছে, অ্যালকোহল তার গুণাগুণ নষ্ট করে দিয়ে সঠিক ভাবে কাজ করতে দেবে না।

সূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন

এসবি