ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

মোমিনুলের পর আক্ষেপে পোড়ালেন লিটনও

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৯ এএম, ৩ জানুয়ারি ২০২২ সোমবার

লিটন দাস

লিটন দাস

তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে জোড়া ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। শুরুতেই আউট হয়ে ফেরেন জয়, আর নতুন বলে পরাস্ত হন মুশফিকও। এই জোড়া ধাক্কার পরও লিটনকে নিয়ে মাথা তুলে দাঁড়ান অধিনায়ক মোমিনুল হক। দুজনের দেড় শতাধিক রানের অনবদ্য জুটিতে স্বাগতিকদের ইনিংস টপকে এখন বড় লক্ষ্যেই ছুটছে বাংলাদেশ। তবে আক্ষেপে পুড়িয়ে আউট হলেন দুজনেই।

সোমবার মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভাল টেস্টের তৃতীয় দিনের তৃতীয় সেশনে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সফরকারীদের প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৩৭৫ রান। ইয়াসির আলী ৫ রানে এবং মেহেদী মিরাজ শূন্য রানে ক্রিজে আছেন।

১৫তম ফিফটি হাঁকিয়ে শতকের লক্ষ্যে থাকা মোমিনুল হক ১২ রানের আক্ষেপ নিয়ে আউট হন ৮৮ রানেই। সঙ্গী লিটন দাসও তাঁর ১১তম ফিফটি হাঁকিয়ে ফেরেন একইভাবে, ৮৬ রানে।

এর আগে এদিনের প্রথম সেশনে ২৬ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৪৫টি রান তুলতে পারে বাংলাদেশ। ৭০ রানে দিন শুরু করে মাহমুদুল হাসান জয় আউট হন ৭৮ রানে, ২২৮টি বল খেলে। এরপর অভিজ্ঞ মুশফিক বিদায় নেন ৫৩ বলে ১২ করে।

এই দুটি উইকেট হারানো ছাড়াও সেশনটি অনেক ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে। ৮ রানে জীবন পেয়ে ও ৯ রানে ক্যাচ দিয়েও নো বলে বেঁচে গিয়ে এখনও টিকে আছেন মোমিনুল। গোটা সেশনে ৭২টি বল খেলে টাইগার টেস্ট অধিনায়ক করতে পারেন মাত্র ৯টি রান। অনেকবারই অস্বস্তিতে পড়েছেন তিনি, তবে হাল না ছেড়ে ঠাণ্ডা মাথায় আঁকড়ে আছেন উইকেট। ফলও পেয়েছেন ইতোমধ্যেই।

যেখানে প্রথম ১০০ বল খেলে মাত্র ১টি চারের সাহায্যে ১৮ করেন মোমিনুল, সেখানে পরের ৭১ বল থেকে ৭টি বাউন্ডারি আদায় করে ৩৯টি রান তোলেন লিটল মাষ্টার। পূরণ করেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৫তম ফিফটিও। অন্যপ্রান্তে অবশ্য অনেকটা সাবলীল ভঙ্গীতে ব্যাট চালিয়ে ছয়টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১১তম ফিফটি হাঁকান লিটন দাস।

এদিন নিউজিল্যান্ডের সব বোলারই আগের দিনের চেয়ে অনেক ভালো বল করেন। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের তাঁরা খেলার সুযোগ দেন সামান্যই। তবে দ্বিতীয় সেশনে এই দুই টাইগারের ব্যাটে খোলস ছেড়ে বের হয় বাংলাদেশ।

যেখানে প্রথম সেশনে বাংলাদেশ রান তোলে মাত্র ৪৫টি, ২ উইকেট হারিয়ে। সেখানে দ্বিতীয় সেশনে আর কোনও বিপদ হতে না দিয়ে তুলে ফেলেন ৮৭ রান। এর মধ্যে পঞ্চম উইকেটে এই দুজনে গড়ে ফেলেন দেড় শতাধিক রানের জুটিও। পরে তৃতীয় সেশনের প্রথম ঘণ্টাটাও নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেন দুজনে।

তবে এরপরই খেই হারিয়ে বোল্টের লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন মোমিনুল। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেন নি সেই ফাঁদ থেকে। যাতে থেমে যায় তাঁর ২৪৪ বলের ম্যারাথন ইনিংসটি। ৩৭০ মিনিট ক্রিজে কাটিয়ে দেয়া এই ইনিংসে ছিল ১২টি চারের মার।

সিনিয়র পার্টনার ফিরতেই যেন খেই হারিয়ে ফেলেন লিটনও। সেই বোল্টের শিকার হয়েই ফিরতে হয় তাঁকেও। অফ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে উইকেটের পিছনে ব্লান্ডেলের গ্লাভসে ধরা পড়েন লিটন দাস। যাতে শেষ হয়ে যায় তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতকের স্বপ্নটাও। 

মোমিনুল ১২ রান দূরে থাকলেও টাইগার এই উইকেট রক্ষক ফেরেন ১৪ রান দূরে থাকতেই। তাঁর এই ১৭৭ বলের ইনিংসে ছিল ১০টি দৃষ্টিনন্দন চারের মার। আর এরইসঙ্গে ৩৭০ রানের মাথায় পড়ে টাইগারদের ষষ্ঠ উইকেট।

এনএস//