ঢাকা, বুধবার   ০৯ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২৩ ১৪৩১

পরমাণু যুদ্ধের বিরুদ্ধে শপথ পাঁচ শক্তিধর দেশের

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ০৪:৩১ পিএম, ৪ জানুয়ারি ২০২২ মঙ্গলবার

পরমাণু অস্ত্র এবং পরমাণু যুদ্ধের বিরুদ্ধে শপথ গ্রহণ করেছে ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য এবং অ্যামেরিকা। এক যৌথ বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে এই পাঁচ দেশ। 

'যা-ই ঘটে যাক, পরমাণু যুদ্ধ নয়। কারণ, পরমাণু যুদ্ধে কোনও দেশের পক্ষেই জয়লাভ সম্ভব নয়। বরং তা পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে টেনে নিয়ে যাবে। সোমবার বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাঁচ দেশ এমনই এক বিবৃতি পেশ করেছে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, পাঁচ দেশের এমন যৌথ বিবৃতি শুধু উল্লেখযোগ্য নয়, বিরল ঘটনাও বটে।

এ মাসেই পরমাণু অস্ত্র সম্পর্কিত এক বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা ছিল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য দেশের। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে সেই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু বিভিন্ন কারণে বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। সে কথা মাথায় রেখেই নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী দেশ সোমবার এই বিবৃতি প্রকাশ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

চীনও এই বিবৃতির অংশ। বিবৃতি প্রকাশের পর চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য প্রকাশ করেছে। সেখানে তিনি বলেছেন, এর ফলে বিভিন্ন দেশের মধ্যে যে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা খানিকটা হলেও কমবে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কোনও দেশ যাতে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার না করে, তা নিশ্চিত করতে হবে। যাদের হাতে এই অস্ত্র আছে, তারা কখনও এই অস্ত্র ব্যবহার করবে না। পরমাণু শক্তির প্রদর্শন সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে।

এর আগে পরমাণু সংক্রান্ত এক চুক্তি হয়েছিল ১৯৭০ সালে। ১৯৬৮ সালে তার খসড়া তৈরি হয়েছিল। সেই চুক্তিতে বিশ্বের ১৯১টি দেশ সই করেছিল। উত্তর কোরিয়া অবশ্য পরে সেই চুক্তি থেকে সরে যায়। সাউথ আফ্রিকা পরমাণু অস্ত্র তৈরি করে ওই চুক্তির মধ্যে ঢোকে এবং নিজেদের পরমাণু অস্ত্র ধ্বংস করে।

সম্প্রতি একাধিক বিষয় নিয়ে বিশ্বের একাধিক দেশের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। একদিকে রাশিয়ার সঙ্গে অ্যামেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি তীব্র বিরোধ চলছে। ইউক্রেন সীমান্তে বিশাল সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। অন্যদিকে, চীনের সঙ্গে অ্যামেরিকার সম্পর্ক কার্যত তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এই পরিস্থিতিতে এই বিবৃতি এবং শপথ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্র: ডয়েচে ভেলে

এসবি/