ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

এ আর রহমানের মেয়ে খতিজার বিয়ে! পাত্র কে?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪২ পিএম, ৪ জানুয়ারি ২০২২ মঙ্গলবার | আপডেট: ১১:৪৫ পিএম, ৪ জানুয়ারি ২০২২ মঙ্গলবার

এ আর রহমান ও তার মেয়ে খতিজা।

এ আর রহমান ও তার মেয়ে খতিজা।

ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জনসমক্ষে খুব একটা আলোচনা করেন বলে শোনা যায়নি। কিন্তু বিয়ে বলে কথা! তা নিয়ে সামান্য শোরগোল তো হবেই! তবে সামান্য নয়, খতিজার বিয়ে নিয়ে বেশ হইচই শুরু হয়েছে। হবে না-ই বা কেন? এ আর রহমানের মেয়ের বিয়ে বলে কথা!

নিজের জীবনের খুঁটিনাটি নিয়ে সব সময় শিরোনামে—  খতিজার সম্পর্কে এমন বলাটা বাহুল্য হবে। তবে এ বার বিষয়টা অন্য। মনের মানুষ বেছে নিয়েছেন যে! তা শুধু আত্মীয়পরিজন-বন্ধুবান্ধবদের জানালেই বা চলবে কেন? ভক্তদেরও তো জানাতে হবে! তাই ইনস্টাগ্রামে সে কথা ঘোষণা করেছেন নিজেই।

খতিজার পাকা কথার খবর জানাজানি হওয়ামাত্রই তাতে আলো পড়েছে। রহমানের বড় মেয়ে নিজেই জানিয়েছেন, ২৯ ডিসেম্বর রিয়াসদীন শাইক মহম্মদের সঙ্গে তার বাগদান হয়ে গিয়েছে। করোনাকালে বাগদানের অনুষ্ঠান বলে তাতে হাতেগোনা কয়েক জনকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে অনুষ্ঠানের খবর ছড়িয়ে পড়তেই তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

সব সময় শিরোনামে না এলেও গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে খতিজা জীবনে তার ব্যতিক্রম ঘটেছিল। তার বোরখা নিয়ে লেখক তসলিমা নাসরিনের ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন খতিজা। 

তসলিমার মতে, খতিজা এমন ভাবে বোরখা পরেন যে সেটা দেখেই তার দমবন্ধ হয়ে যায়। যদিও এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন খতিজা। যদিও অনেকেই বলেছিলেন যে, বিরোধিতার করলেও খতিজা যে যথেষ্ট প্রাপ্তমনস্ক, তা ফুটে উঠেছে।

গত বছরের ওই বিতর্ক ছাড়া এখনও পর্যন্ত ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ‘পেজ থ্রি’-র পাতায় উঠে আসেননি খতিজা। যদিও ২৩ বছরের মেয়েটির পেশাদার জীবন নিয়ে তা বলা যাবে না।

১৯৯৬ সালের ২৮ জুলাই চেন্নাইয়ে জন্ম খতিজার। রহমানের মেয়ে হওয়ার সুবাদে ছোটবেলা কেটেছে সঙ্গীতের আবহে। প্রথাগত পড়াশোনার শেষ করে সঙ্গীতকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন খতিজা। জানিয়েছেন, ছোট থেকে বাবার সঙ্গে কাজ করাটা তাঁর স্বপ্ন ছিল।

সে স্বপ্নপূরণও হয়েছে খতিজার। এ আর রহমান এবং সাইরা বানুর বড় মেয়ে পেশাদার শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ মাত্র ১৪ বছর বয়সে। ২০১০ সালে রজনীকান্ত এবং ঐশ্বর্যা রাইয়ের ফিল্ম ‘এন্থিরান’-এর জন্য এসপি বালসুব্রহ্মণ্যমের সঙ্গে গেয়েছিল খতিজা। রহমানের সুরে সে গানেই জাত চিনিয়েছিল সেই সময়ের কিশোরী খতিজা। 

পার্শ্বগায়িকা হিসেবে নজরকাড়া পারফরম্যান্সের পর ফের বাবার সঙ্গে কাজের সুযোগ এসেছিল। ২০১৯ সালে মুম্বইয়ে ইউ ২-র কনসার্টে পারর্ফম করেছিলেন খতিজা। সম্প্রতি ফের শোনা গিয়েছে তার গান। এ বার কৃতী শ্যাননের ফিল্ম ‘মিমি’-র জন্য গান গেয়েছেন তিনি। নেটফ্লিক্সে সে ছবির ‘রক আ বাই বেবি’ গানটি অনেকেরই বাহবা কুড়িয়েছে। 

আর পাঁচটা কমবয়সির মতোই ২৩ বছরের খতিজার পছন্দের তালিকায় রয়েছেন রজনীকান্ত, শাহরুখ খান। এবং অবশ্যই অমিতাভ বচ্চন। আর বলিউডের নায়িকা হিসেবে কঙ্গনা রানাওয়াত এবং আলিয়া ভাটকে বেশ লাগে তার। মা-বাবার সঙ্গে দুবাই ঘোরাও খতিজার ভাললাগার তালিকায় রয়েছে।

খতিজার কথা তো অনেক হল। কিন্তু রহমানের হবু জামাই রিয়াসদীনকে নিয়েও বেশ আলোচনা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই তাকে নিয়ে খরবাখবরও ঘোরাফেরা করছে।

খতিজার মতে, রিয়াসদীন অত্যন্ত প্রতিভাবান। লাইভ অডিও ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে তার দক্ষতাও নাকি লা-জবাব! উদ্যোগপতি হিসেবেও নতুন পথে পা বাড়িয়েছেন রিয়াস। মজার কথা, খতিজার মতো রিয়াসও নিজের কথা নিয়ে বিশেষ মুখ খোলেননি।  

খতিজার সঙ্গে আরও একটি মিল রয়েছে রিয়াসের। দু’জনের জন্মই চেন্নাইয়ে। ছোটবেলাও কেটেছে সে শহরে। 

খতিজা-রিয়াসের পাকা কথা হতেই হবু দম্পতির জন্য শুভেচ্ছার বন্যা বইতে শুরু করেছেন। খতিজা-রিয়াসের নতুন জীবনের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন হর্ষদীপ কউর, নীতি মোহন, শ্রীকান্ত হরিহরণ, জনিতা গাঁধী, অভয় যোধপুরকর, সিড শ্রীরাম-সহ একঝাঁক পার্শ্বগায়ক-গায়িকা।

এসি