ঢাকা, বুধবার   ০৯ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২৩ ১৪৩১

১৫ লাখ মানুষকে চিকিৎসকের পরামর্শ সেবা দিল ডিজিটাল হসপিটাল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৩১ এএম, ৫ জানুয়ারি ২০২২ বুধবার | আপডেট: ০৭:৩৯ পিএম, ৬ জানুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার

সম্প্রতি, দেশের ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল হসপিটাল, কল, চ্যাট ও ভিডিও কলের মাধ্যমে সফলভাবে ১৫ লাখের বেশি মানুষকে চিকিৎসকের পরামর্শ সেবা প্রদানের মাইলফলক স্পর্শ করেছে। যাত্রার সূচনালগ্ন থেকেই দুশো’র অধিক অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের একটি টিমের সাথে ডিজিটাল হসপিটাল, দেশের গ্রামীণ এবং সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করছে। 

স্বাস্থ্যসেবার সর্বোচ্চ মান বজায় রাখতে ডিজিটাল হসপিটালের সকল চিকিৎসককে নিয়মিত মূল্যায়ন ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এছাড়া, আইএসও ২৭০০১:২০১৩ সনদপ্রাপ্ত ডিজিটাল হসপিটাল, চিকিৎসকের পরামর্শ ও রোগীদের মেডিকেল রেকর্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গোপনীয়তা বজায় রাখে। 
ডিজিটাল হসপিটাল অ্যাপের মাধ্যমে মাত্র ৯৯ টাকা থেকে শুরু করে যে কেউ যেকোনো জায়গা থেকে অডিও কল, ভিডিও কল ও চ্যাটের মাধ্যমে আনলিমিটেড বার চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারবেন। আবার, বিভিন্ন চিকিৎসা ব্যয়ের ক্ষেত্রে ডিজিটাল হসপিটাল, প্যাকেজের মাধ্যমে ২,৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত ফ্রি হেলথ ক্যাশব্যাক প্রদান করে। 

বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদন “পাথওয়েজ টু রিডিউস হাউসহোল্ড আউট-অফ-পকেট এক্সপেন্ডিচার” অনুসারে, প্রয়োজন অনুযায়ী সকলের জন্য মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ইউএইচসি’তে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে। তবে, বাংলাদেশে স্বাস্থ্য ব্যয়ের দুই-তৃতীয়াংশই পরিবারের নিজস্ব খরচের অংশ দ্বারা পরিচালিত হয়, যা বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল অর্থায়ন। স্বাস্থ্য ব্যয়ের এত বড় অংশ নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালনা করার ফলে পরিবার সমূহের আর্থিক অসুবিধার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। চিকিৎসকের কাছ থেকে মানসম্পন্ন পরামর্শ গ্রহণ এবং শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ঔষধ এবং পরীক্ষার জন্যই প্রেসক্রিপশন গ্রহণ করা অপ্রয়োজনীয় আউট-অফ-পকেট খরচ কমানোর অন্যতম পথ। 

ডিজিটাল হসপিটালের সিসিও এন্ড্রু স্মিথ বলেছেন, “ডিজিটাল হসপিটালের মূল উদ্দেশ্য হল সকলের জন্য ডাক্তারের পরামর্শকে সহজলভ্য, সাশ্রয়ী এবং উন্নত মানের করে তোলা। এর কারণ হল, যখন ডাক্তারের পরামর্শ সাশ্রয়ী হয়, তখন স্বাস্থ্য সমস্যা গুরুতর হয়ে ওঠার আগেই রোগীরা ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করার ব্যাপারে উৎসাহিত বোধ করেন। দীর্ঘমেয়াদে এটি মানুষকে সুস্থ থাকতে এবং মোটা অঙ্কের স্বাস্থ্য ব্যয় এড়াতে সহায়তা করে, যে ধরণের ব্যয় তাদেরকে দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিতে পারে। আমরা ইতোমধ্যেই সারা দেশে ১৫ লাখের বেশি রোগীর সেবা দান করতে পেরে গর্বিত, এবং ভবিষ্যতেও আমরা আরো অনেক সুবিধা নিয়ে আসতে যাচ্ছি”।

আরকে//