গৌরবের ২৬ বছর উদযাপন করেছে চেরী ব্লোসমস ইন্টা. স্কুল
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:১১ পিএম, ৫ জানুয়ারি ২০২২ বুধবার | আপডেট: ০৮:৫২ পিএম, ৫ জানুয়ারি ২০২২ বুধবার
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে চেরী ব্লোসমস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। বুধবার (৫ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত স্কুল প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা, পুরুস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।
তিনি বলেন, শুধু সনদ নির্ভর শিক্ষা কখনও জীবনকে পূর্ণতা দিতে পারে না। এই জন্য দরকার নৈতিক শিক্ষার চর্চা করা। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে পরিবার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীদেরকে বিশ্বমানের নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চেরী ব্লোসমস স্কুল যে অবদান রাখছে সেটা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার রাখে। বিগত দিনের সাফল্য বজায় রেখে এই চেরী ফুলের সুবাস ছড়িয়ে পড়ুক ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশে।'
অনুষ্ঠানে করেন স্কুলের অধ্যক্ষ ও চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. সালেহা কাদের এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল ড. আফসানা আমিন ও স্কুলের শিক্ষকরা। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন এডেক্সসেল এবং পিয়ারসন এর কর্মকর্তা লিটন আবদুল্লাহ, সঙ্গীতশিল্পী অঞ্জলি চৌধুরীসহ স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের উপস্থিতিতে এক আনন্দ ঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
এছাড়া অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের আয়োজনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পিঠা উৎসবসহ নানান আয়োজনে মুখরিত হয় স্কুল প্রাঙ্গণ।
চেরী ব্লোসমস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল ড. সালেহা কাদের তাঁর বক্তব্যে বলেন, শিক্ষার উদ্দেশ্য শুধু পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করা না, শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে ভালো মনের মানুষ হওয়া। এই মূলমন্ত্র ধারণ করেই স্কুলটির যাত্রা শুরু করি। জীবনে অনেক অর্থবিত্তের চাকরি করেছি, ব্যবসা ফেলে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় অবদান রাখতে চেয়েছি। আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, আমি আগামী দিনের বাংলাদেশের নির্মাতাদের ভবিষ্যৎ গড়তে চেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক চিন্তাকে বাহিরে রেখে সামাজিক ও মানবিক দায়বদ্ধতা থেকে স্কুলের শিক্ষকদের নিয়ে আন্তরিক প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে একটি আদর্শিক প্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে পেরেছি। যার ফলে স্কুলে শিক্ষার পরিবেশে নতুন মাত্রা যোগ করেছি। শিক্ষাক্ষেত্রে অবদানের জন্য আমরা দেশ ও দেশের বাহিরে পুরস্কার এবং সম্মাননা অর্জন করেছি।
উল্লেখ্য, শিক্ষা ব্যবস্থায় অভিনব দিগন্ত উন্মোচনের দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে ১৯৯৬ সালে রাজধানীর মিরপুরে শিক্ষাবিদ ড. সালেহা কাদের এই স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে শিক্ষার্থীরা ওয়ার্ল্ড হায়েস্ট নাম্বার পেয়ে আমেরিকা, ইউ-কে, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন মানসম্মত প্রতিষ্ঠানে স্কলারশিপ নিয়ে অধ্যয়ন করছে। দুই যুগের বেশি সময় ধরে সুষ্ঠু পরিবেশে ইউকে কারিকুলামে শিক্ষার্থীদের পাঠদান দেওয়া হচ্ছে। যা শিক্ষায় আমূল-পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি সাফল্যের মাইলফলক সৃষ্টি করে পেরিয়ে গেছে তাঁর গৌরবের ২৬টি বছর। স্বল্প ফি নেওয়ার মাধ্যমে নিন্ম ও মধ্যবিত্তদের আর্থিক সীমার মধ্যে শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষার গুণগত মান বজায় রেখেছে।
মহামারি করোনার সময়ে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় যেন প্রভাব না পড়ে সেজন্য অনলাইনে পাঠদান এবং অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি ক্লাস রুটিন অনুযায়ী কাব-স্কাউটিং, নাচ, গান ও শরীর চর্চার ক্লাসগুলোও অব্যাহত রাখা হয়। এছাড়া শিক্ষার্থীদের বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে গ্রাম বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্যের গান হাসন-লালন, বৈশাখের গান, বৃষ্টি বন্দনার গান, দ্বৈত সংগীত, জারি-সারি, ভাটিয়ারী, পালাগান, পুঁথিপাঠ, চিত্রাঙ্কন শেখানো হয়। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রচনা ও ছবি আঁকার প্রতিযোগিতা, 'মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রাঙ্কন ও আলোচনা সভা, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়ে থাকে।
কেআই//