ধলেশ্বরীতে ট্রলার ডুবি: নিখোঁজদের এখনও খোঁজ মেলেনি
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০১:৫১ পিএম, ৬ জানুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০২:০১ পিএম, ৬ জানুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার
নারায়ণগঞ্জে ধলেশ্বরীতে ট্রলার ডুবি ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতে উদ্ধার অভিযান শুরু করছে ফায়ার সার্ভিস। উদ্ধার অভিযানে যুক্ত হয়েছেন নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিআইডব্লিউটিএ’র ডুবুরি দল। তবে এখনও খোঁজ মেলেনি নিখোঁজদের।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে উদ্ধার শুরু হয়। তবে এখনও জীবিত বা মৃত কাউকে উদ্ধার করতে পারেনি।
ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশর অফিসার আলম হোসেন জানান, নদীতে প্রচুর পরিমাণে কুয়াশার কারণে উদ্ধার অভিযানে বেঘাত ঘটছে। আমারা নদীতে কয়েটি ভাগে উদ্ধার অভিযান করছি।
নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিআইডব্লিউটিএ’র ডুবুরি দল নদীতে নেমেছে। তবে এখনো ডুবে যাওয়া ট্রলারের সন্ধান পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি কারো মরদেহ উদ্ধার করা যায়নি, জানান তিনি।
এদিকে, ধলেশ্বরী নদীর তীরে নিখোঁজদের স্বজনরা তাদের প্রিয় মানুষটির জন্য অপেক্ষা করছেন। ভোর থেকে অসংখ্য মানুষ জড় হতে থাকেন নদীর তীরে। তাদের মধ্যে কারো সন্তান, কারো ভাই এবং নিজের সহকর্মীর সন্ধানে অপেক্ষার প্রহর গুণছেন তারা।
যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া ট্রলারের যাত্রীদের মধ্যে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন একই পরিবারের ৪ জন। তারা হলেন- চর মধ্যনগরের ইয়াসমিন আক্তার, তার মেয়ে তাসমিন আক্তার, ছেলে তামিম এবং দুই বছরের ছোট্ট শিশু তাসফিয়া।
এছাড়াও এ দুর্ঘটনায় বক্তাবলী এলাকার কলেজ শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন, নেয়ামতপুর এলাকার আব্দুল্লাহ, উত্তর গোপাল নগর এলাকার মোতালেব মিয়া ও একই এলাকার মসজিদের মোয়াজ্জিন আব্দুল্লাহ ও ৬৫ বছর বয়সী হকার শামসুদ্দিন নিখোঁজ রয়েছেন।
এ ঘটনায় এমভি ফারহান-৬ নামের যাত্রীবাহী লঞ্চটি জব্দ করা হয়েছে। লঞ্চটির চালক-মাস্টারসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে নৌ পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
নৌ-পুলিশের সুপার মিনা আক্তার জানান, ধলেশ্বরীতে যাত্রীবাহী ট্রলারটি ডুবিয়ে দেয়া এমভি ফারহান-৬ নামের যাত্রীবাহী লঞ্চটি চালক, মাস্টার ও সুকানিকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
বুধবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় ধলেশ্বরীতে এমভি ফারহান-৬ নামের যাত্রীবাহী লঞ্চটি ধাক্কায় অন্তত ৩০ জন যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় ট্রলারটি। অনেকে সাঁতরে তীরে উঠলে নিখোঁজ হন ৯ জন।
সারাদিন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা উদ্ধার অভিযান চালিয়েও ট্রলারের সন্ধান পায়নি। ঘন কুয়াশা ও অন্ধকারের কারণে রাত ৭টার দিকে প্রথম দিনের উদ্ধার কাজ স্থগিত করা হয়।
এএইচ/