ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:২৬ এএম, ৭ জানুয়ারি ২০২২ শুক্রবার

টানা তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের তিন বছর পূর্তি ৭ জানুয়ারি। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জনের পর ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি সরকার গঠন করে দলটি। টানা তৃতীয় বারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। এদিকে বর্তমান সরকারের ১৩ বছর পূর্তিও ৭ জানুয়ারি। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি সরকার গঠন করে একটানা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছে আওয়ামী লীগ।

২০১৯ সালের এই দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চমক জাগানো নতুন মন্ত্রিসভার ৪৭ সদস্য শপথ নেন। সরকারের এই দুই বছরের পথচলায় মন্ত্রিসভায় কয়েক দফায় রদবদল হয়েছে, যুক্ত হয়েছেন নতুন মুখ। তৃণমূলে নেতৃত্ব ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে ‘বিদ্রোহী প্রার্থী’ নিয়ে কিছু কোন্দল দেখা গেছে। তবে সাংগঠনিকভাবে এসব পরিস্থিতি মোকাবিলায় তেমন বেগ পেতে হয়নি ক্ষমতাসীন দলটিকে। রাজপথেও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকেও খুব একটা চ্যালেঞ্জ আসেনি।

এই তিন বছরের পথচলায় সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে এসেছিল বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড১৯) সংক্রমণ। করোনা মোকাবিলা করে একদিকে জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষা, অন্যদিকে জনগণের জীবন-জীবিকা সচল রাখা— দুইয়ে মিলে সরকারের চলার পথটি ছিল বন্ধুর। তবে শেষ পর্যন্ত বলতে গেলে দৃঢ়তার সঙ্গে একহাতেই করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা।

এর আগে ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন।

সরকারের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।

বর্তমান সরকারের মেয়াদে দেশের বিভিন্ন সেক্টরে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। পদ্মা সেতুর মত বৃহৎ প্রকল্প নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নের পথে। এ বছর জুন মাসে সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার কথা রয়েছে।

এছাড়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল, রাজধানীতে মেট্রোরেল সহ বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বর্তমান সরকার। মেট্রোরেল এবং কর্ণফুলী টানেলও এ বছর চালু হবে।

সেক্টরভিত্তিক উন্নয়নের জের ধরে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে দেশটির উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি পেয়েছে। জাতীয় আয়, প্রবৃদ্ধি, গড় আয়ু, সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি পেয়েছে।

বর্তমান সরকারের টানা ক্ষমতার ১৩ বছরের মেয়াদে দীর্ঘ একুশ বছর ধরে বুক ফুলিয়ে চলা বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচার, ফাঁসির দণ্ড কার্যকর, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যকরের মাধ্যমে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে উত্তরণের সাহসী পদক্ষেপেরও সাক্ষী এদেশের মানুষ। শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্ব আর কৌশলী অবস্থানের কারণেই বাংলাদেশ নতুন পরিচয়ে পরিচিতি পাচ্ছে। গত ১৩ বছরে বাংলাদেশ উন্নয়ন, অগ্রগতির সকল সূচকে যুগান্তকারী মাইলফলক স্পর্শ করেছে। অর্থনীতি ও আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার সকল দেশকে ছাড়িয়ে সারাবিশ্বে অগ্রগতির অভূতপূর্ব স্মারক বহন করছে।
এসএ/