ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৪
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:৫৮ পিএম, ৭ জানুয়ারি ২০২২ শুক্রবার
নোয়াখালীর সুধারাম মডেল থানা বেষ্টুনির মধ্যে ২৩ বছর বয়সী এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ওই নারীর মা বাদী হয়ে ট্রাফিক পুলিশের এক কনস্টেবলসহ ৪ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত সকল আসামীদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে ভিকটিমের মা হাজেরা বেগম বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে সুধারাম থানার ট্রাফিক পুলিশের কোয়ার্টারে বাবুর্চি আবুল কালামের শয়নকক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মাদলা গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে ও সদর ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল মকবুল হোসেন (৩২), বেগমগঞ্জ উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের মৃত আমান উল্যার ছেলে সিএনজি চালক মো. কামরুল (২৫), একলাশপুর ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে নুর হোসেন কালু (৩০) ও সদর উপজেলার দাদপুর গ্রামের মৃত মফিজ উল্যার ছেলে আবদুল মান্নান (৪৯)।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুধারাম মডেল থানার পরিদর্শক(অপারেশন) মিজানুর রহমান পাঠান জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই নারী ফেনী থেকে মাইজদীতে আসেন। মাইজদীতে আসার পর তার টাকার সংকট দেখা দিলে নিজের পূর্ব পরিচিত সিএনজি চালক মো. কামরুলের সাথে দেখা করে সে। এক পর্যায়ে কামরুল, আবদুল মান্নান ও নুর হোসেন কালু ভিকটিমকে সদর ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল (মুন্সি) মকবুল হোসেনের কাছে নিয়ে যায়। এসময় তাদের সহযোগিতায় মুন্সি মকবুল হোসেন ভিকটিমকে ট্রাফিক পুলিশের বাবুর্চি আবুল কালামের রুমে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনার পরপরই ভিকটিম পাশের সুধারাম থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহেদ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদি হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার সকল আসামিকেই গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিমের শারীরিক পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
কেআই//