মুরিতে প্রবল তুষারপাতে গাড়ির মধ্যে আটকে মৃত্যু ২২
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:৩৮ পিএম, ৮ জানুয়ারি ২০২২ শনিবার
প্রবল তুষারপাতের জেরে সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে যায় হাজার খানেক গাড়ি। যাতে শুরু হয় ট্রাফিক জ্যাম। বরফ কেটেও সরানো যায়নি গাড়িগুলো। অব্যাহত প্রবল তুষারপাতের মাঝেই পাকিস্তানের শৈল শহর মুরিতে ওইসব গাড়ির মধ্যে আটকা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
চলতি বছরে পাকিস্তানের একাধিক শৈল শহরে প্রবল তুষারপাত লক্ষ্য় করা গেছে। তেমনই উত্তর পাকিস্তানের মুরিতেও প্রবল তুষারপাতের চিত্র দেখা যায় প্রচার মাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমগুলোতে।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, অব্যাহত প্রবল তুষারপাতের ফলে অনেকেই গাড়ির ভিতর 'ফ্রোজেন' হতে শুরু করেন। তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে চলে যাওয়ায় বরফ-ঠাণ্ডার প্রবল দাপটে ঘটে যায় বিপর্যয়। প্রাথমিকভাবে এই ঘটনায় ১৬ থেকে ১৯ জনের মৃত্যুর খবর আসলেও পরে জানা যায়, সেখানে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য, মুরির যে জায়গায় এই ঘটনা ঘটেছে, সেটি ইসলামাবাদ থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে। এমন এক বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার করতে ইতিমধ্যেই তৎপরতা শুরু করেছে পাক প্রশাসন।
পাকিস্তানের মন্ত্রী শেখ রশিদ জানিয়েছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত কোনও উদ্ধারকারী দল এলাকায় প্রবেশ করে ক্ষতিগ্রস্তদের খাবার, প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়ে উদ্ধার করছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত মুরিতে যেন কেউ প্রবেশ না করে। আপাতত এলাকায় বরফ কেটে রাস্তা পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে।
এদিকে, মর্মান্তিক এ ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়ে এক টুইট বার্তায় শোক প্রকাশ করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
জানা গেছে, মুরির এ ঘটনায় মারা গেছেন ইসলামাবাদের পুলিশ কর্মকর্তা নাভিদ ইকবালের পরিবারের ৮ জন সদস্য। এছাড়া মৃতদের মধ্যে ৯ জন শিশুও রয়েছে।
ঘটনা সম্পর্কে জানাতে গিয়ে পাকিস্তানের গৃহমন্ত্রী শেখ রশিদ জানিয়েছেন, ইতিহাসে এই প্রথমবার পাকিস্তানের শৈলশহরে পর্যটকদের এত ভিড় দেখা গেছে।
এদিকে, এ ঘটনায় যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মৃত্যুর কারণ হিসেবে হাইপোথারমিয়াকে দায় দেয়া হচ্ছে বলেই পাকিস্তান পুলিশের একটি সূত্রে জানানো হয়েছে। এই হাইপোথারমিয়ার বশবর্তী হয়েই মানুষের শরীরে যে গতিতে তাপ উৎপন্ন হয়, তার চেয়ে বেশি গতিতে সেই তাপ কমে যেতে থাকে। ফলে শরীরে তাপমাত্রা কমতে থাকে ভয়াবহভাবে। যার জেরে ঘটে যায় মৃত্যু। সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস।
এনএস//