ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

ফলোঅন এড়াতে পারবে কি বাংলাদেশ?

নাজমুশ শাহাদাৎ

প্রকাশিত : ১০:৪৫ এএম, ১০ জানুয়ারি ২০২২ সোমবার | আপডেট: ১১:২৬ এএম, ১০ জানুয়ারি ২০২২ সোমবার

ক্যারিয়ার সেরা ৫৫ রানের ইনিংস খেলে আউট হন ইয়াসির আলী

ক্যারিয়ার সেরা ৫৫ রানের ইনিংস খেলে আউট হন ইয়াসির আলী

ছয় উইকেটে ৫২১ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে দেয় নিউজিল্যান্ড। তাদের ইনিংসে ছিল একটি দ্বি-শতক, একটি শতক ও দুটি অর্ধশতক। বিশাল এই রানের জবাব দিতে নেমে মাত্র ২৭ রান তুলতেই ইনিংসের অর্ধেকটা হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। সোহান ও ইয়াসির লড়লেও মোমিনুল হকের দল ফলোঅন এড়াতে পারে কিনা- দেখা দিয়েছে সেই শঙ্কা!

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ১০২ রান তুলতে পেরেছে ৩২ ওভার খেলা বাংলাদেশ। ইয়াসির আলী ৩৯ রানে ক্রিজে আছেন। সঙ্গে যোগ দেয়া মিরাজ আছেন ১ রানে। ৪১ রান করে সাউদির তৃতীয় শিকার হয়ে ফেরেন সোহান।

হ্যাগলি ওভালে সোমবার ৯৯ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নামেন কনওয়ে। দিনের শুরুতেই তিনি পান শতকের দেখা। তবে আর বেশি দূর যেতে পারেননি। মেহেদী হাসান মিরাজের থ্রোতে রান আউট হয়ে থামেন ১০৯ রানে। কনওয়ের ১৬৬ বলের ইনিংসে ছিল ১২ চার ও এক ছক্কা।

কনওয়ে ফেরার পর ল্যাথামের সঙ্গে জুটি গড়েন রস টেইলর। ৩৯ বলে ২৮ রান করা টেইলরকে শিকার করেন এবাদত। শরিফুলের হাতে ক্যাচ দেন বিদায়ী টেস্ট খেলা টেইলর। হেনরি নিকোলসকেও শিকার করেন এবাদত। উইকেটরক্ষক নুরুল হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন নিকোলস।

আর মধ্যাহ্ন বিরতির ঠিক আগে ড্যারিল মিচেলকে শিকার করেন শরিফুল। মিচেলও সোহানের তালুবন্দী হন। মধ্যাহ্ন বিরতি থেকে ফেরার পর ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট করেন টম ল্যাথাম ও টম ব্লান্ডেল। ল্যাথাম আউট হওয়ার আগে দুজনে গড়েন ৭৬ রানের জুটি। মোমিনুল হকের বলে ইয়াসির আলির হাতে ক্যাচ দেন ল্যাথাম। কিউই অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ৩৭৩ বলে ২৫২ রান। ইনিংসটিতে ছিল ৩৪টি চার ও ২টি ছক্কা।

এরপর ব্লান্ডেল অর্ধশতক হাঁকানোর পর ইনিংস ঘোষণা করে ব্ল্যাকক্যাপস। ৬০ বলে ৫৭ রানের দ্রুতগতির ইনিংস খেলেন ব্লান্ডেন। নিউজিল্যান্ড সংগ্রহ করে ৬ উইকেটে ৫২১ রান। বাংলাদেশের পক্ষে শরিফুল ও এবাদত দুইটি করে এবং মোমিনুল একটি উইকেট নেন।

কিউয়ি রান পাহাড়ের জবাব দিতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ট্রেন্ট বোল্টের বলে সাদমান ইসলাম আউট হলে ৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় সফরকারীরা। অভিষিক্ত নাঈম শেখ বিদায় নেন ০ রানে। এরপরই নাজমুল হোসাইন শান্ত ৪ ও অধিনায়ক মোমিনুল ০ রানে আউট হন। 

ফলে মাত্র ১১ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে দিনের আলোতেও চোখে অন্ধকার দেখতে শুরু করে বাংলাদেশ। এই অবস্থায় ১৬ রান যোগ করে চা বিরতিতে যান লিটন দাস ও ইয়াসির আলী। কিন্তু মাঠে ফিরেই সাজঘরের পথ ধরেন ৮ রান করা লিটন দাস। মনে হল অতি দরকারী কিছু একটা ফেলে এসেছেন ড্রেসিং রুমে।

আর এতেই মাত্র ২৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে দল। যেখান থাকে টেনে তোলার চেষ্টা চালান নুরুল হাসান সোহান ও ইয়াসির আলী চৌধুরী। দুজনে মিলে ১০৭টি বল খেলে গড়েন ৬০ রানের জুটি। 

কিন্তু বিপর্যয় কাটিয়ে মাথা তুলে দাঁড়ানোর আগেই এই জুটিকে শেষ করেন টিম সাউদি। লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে এখন পর্যন্ত ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪১ রান করে ক্রিজ ছাড়েন সোহান। যাতে দলীয় ৮৭ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ এখন ফলোঅন এড়াতে পারে কি না- জেগেছে সেই শঙ্কা। 

কেননা, ফলোঅন এড়াতে ৩২২ রান করতে হবে বাংলাদেশ দলকে। টাইগারদের ইনিংসে ধ্বংসলীলা চালানো টিম সাউদি ও ট্রেন্ট বোল্ট নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট।

এনএস//