জাবিতে ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্যোগ ও করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন
জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০১:৩১ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০২২ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৮:৩৭ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০২২ মঙ্গলবার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে ‘উখিয়া-টেকনাফ এলাকার রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে বসবাস সংশ্লিষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ দুর্যোগ ও করণীয়' শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় বিভাগের সেমিনার কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷
সম্মেলনে বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাবি ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এটিএম শাখাওয়াত হোসেন।
ড. শাখাওয়াত বলেন, ‘মায়ানমারে জাতিগত দাঙ্গায় বাস্তচ্যুত ১০ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজার জেলার উখিয়া-টেকনাফ অঞ্চলে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছেন। কয়েক বছর ধরে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শরণার্থী গোষ্ঠিকে আশ্রয় দিতে গিয়ে বাংলাদেশকে বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। পাহাড়ী অঞ্চলের পরিবেশ, প্রতিবেশ ও বনাঞ্চল মারাত্মক বিপর্যয়ের সম্মুখীন।’
জাবি ভূ-প্রকৌশল বিষয়ক গবেষণায় বলা হয়, শরণার্থী ক্যাম্প এলাকায় মাঝারি থেকে উচ্চ মাত্রার ঝুঁকিপূর্ণ ভূ-প্রকৌশল নিয়ামক নিরাপদ মাত্রার মান ১-এর কাছাকাছি অথবা ১ এর থেকে কম। মাটির ভূ-প্রকৌশল, স্বচ্ছিদ্রতা ভূমির বৈশিষ্ট্য, ভূ অভ্যন্তরিণ পানির প্রবাহ ও স্থিতিশীলতা মডেলিং-এর উপর ভিত্তি করে টেকসই নিরাপত্তার জন্য একটি ঝুঁকিপূর্ণ মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে।
এছাড়া ভূমির লিকুইফ্যাকশন সূচক ব্যবহার করে বালুখালি কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকার পাহাড়ি ঢালের একটি ঝুঁকি মানচিত্র তৈরি করার পরিকল্পনা ব্যক্ত করা হয় সম্মেলনে। যা পরবর্তীতে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে ক্যাম্প এলাকায় সব স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে বলে জানানো হয়।
এতে করে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা মৌসুমী বৃষ্টিপাত ও ভূকম্পনজনিত দুর্যোগ থেকে রোহিঙ্গাদের জীবন ও সম্পদ রক্ষা করে টেকসই উদ্যোগ প্রণয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারবে।
গবেষকবৃন্দ এলাকার টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে অচিরেই অবিলম্বে রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফেরত পাঠানোর উপর জোর দেন।
এ গবেষণার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে আগামী ১৫ জানুয়ারি মহাখালীর ব্রাক সেন্টারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করার পরিকল্পনার কথা জানান তারা৷
এএইচ/