মাথার টাকে চুল গজানোর খরচ দেবে সরকার!
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৫১ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০২২ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৫:৫১ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০২২ মঙ্গলবার
ভোটের রাজনীতি বড়ই জটিল। ভোটে জেতার জন্য মানুষ কত কিই না করেন। ভোটে জেতার লক্ষ্যে মানুষের পাশে থাকার আশ্বাস কোন রাজনৈতিক নেতা না দেন! সেই আশ্বাস দিতে গিয়ে তারা তো কতরকম কথাই না বলে থাকেন।
কেউ হয়তো কর্মসংস্থান তৈরির কথা ঘোষণা করেন। কেউ রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু তাই বলে ভোটে জিতে এলে টাকওয়ালা ব্যক্তির মাথায় চুল গজানোর প্রতিশ্রুতি?
হ্যাঁ, তেমন আশ্চর্যজনক ঘটনাই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এমন ব্যতিক্রমী এক প্রতিশ্রুতি দিয়ে সম্প্রতি বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার এক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। প্রার্থীর নাম লি জায়ে-মুং। দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টি অব কোরিয়া (ডিপিকে) থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ছেন তিনি।
আগামী মার্চে সে দেশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা। এরই মধ্যে লি জায়ে-মুং ঘোষণা করে দিয়েছেন, নির্বাচনে জিতলে তিনি দেশের জনগণের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্যবিমা চালু করবেন। কিন্তু এর সঙ্গে টাকে চুল গজানোর কী আছে?
আছে। প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর এই ঘোষণার পরপরই তাই বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। কেননা, ওই স্বাস্থ্যবিমার আওতায় দক্ষিণ কোরিয়ার টাকমাথার মানুষদের মাথায় চুল গজানোর চিকিৎসার খরচ সরকারি তহবিল থেকে বহন করার কথাও রয়েছে! প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর এমন প্রতিশ্রুতি শুনে অবাক দেশটির ভোটারদল।
দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি হিসাব বলছে, ২০২০ সালে দেশটিতে প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার মানুষ মাথায় চুল গজানোর চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে গিয়েছেন!
টাকওয়ালা ব্যক্তিদের মাথায় চুল গজানোর চিকিৎসার খরচ জোগানোর ঘোষণা করতে গিয়ে লি জায়ে-মুং বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রায় এক কোটি মানুষ চুল ঝরে পড়ার সমস্যায় ভুগছেন। চুল গজানোর চিকিৎসায় খরচ অনেক বেশি। অনেক সময়েই বিদেশ থেকে ওষুধ ইত্যাদি আনতে হয়। অনেকেই তাই ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও এই চিকিৎসা করাতে পারেন না। দেশবাসীর সামনে সেই সুযোগ এনে দিতে চান তিনি।
কোনও কোনও মহল বলছে-- মাথায় চুল গজানোর জন্য ছ'মাসের চিকিৎসা, ভালো মানের শ্যাম্পু ও চুলের বৃদ্ধির জন্য কার্যকরী এমন খাবার কিনতে তিন হাজার ডলারের বেশি খরচ হয় সে দেশে। সরকার এই খরচ বহন করলে ভালোই। তবে অনেকেই এই প্রতিশ্রুতির সমালোচনা করছেন। সূত্র: জিনিউজ
এসি