কাবুলের বাজার খাদ্যপণ্যে ঠাসা, কিন্তু মানুষের কাছে টাকা নেই
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:২৯ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০২২ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৯:৫৫ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০২২ মঙ্গলবার
দিনভর ঝির ঝির বরফ পড়ছে, মাঝেমধ্যেই তাপমাত্রা নেমে যাচ্ছে মাইনাস ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। আবহাওয়ার এই প্রতিকূলতার সঙ্গে যেন পাল্লা দিয়ে দিনকে দিন ভঙ্গুর হচ্ছে আফগানিস্তানের অর্থনীতি।
একদিকে মানুষের হাতে টাকা নেই, অথচ বেড়েই চলেছে দ্রব্যমূল্য। তিন বেলা খাবার জোটাতে গিয়ে এক কথায় বিপর্যস্ত দেশটির সাধারণ মানুষের জীবন।
আফগানিস্তানের নানগারহার প্রদেশ থেকে কাবুলে এসে বসবাস শুরু করেছেন আদজার গুল। কোনওরকম ছাউনি দিয়ে ছোট একটি ঘর করে সেখানেই পরিবারের চার সদস্য নিয়ে বাস করেন তিনি।
শীতের শুরু থেকেই আদজারের পরিবারে বাড়ছে অভাব, আর এখন শীতের হাত থেকে ঘর গরম করার মত সামর্থ্যও তার নেই। তাই বাধ্য হয়ে প্লাস্টিক পুড়িয়ে ঘর গরম করছেন তিনি। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, সন্তানদের গোসলের জন্য সাবান কেনাও এখন তার জন্য বিলাসিতা।
পুরো আফগানিস্তানজুড়েই এখন আদজারের মত সীমাহীন দুর্দশার গল্প রয়েছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে।
কাবুলের বাজারগুলোতে অবশ্য পণ্যের কমতি নেই। চাল, ডাল, তেল, বাদাম সব পণ্যেই ঠাসা দোকানগুলো। কিন্তু দুর্ভাগ্য, তা কেনার সামর্থ্য নেই বেশিরভাগ আফগানের।
স্থানীয়রা বলছেন, এর আগে এতটা অভাবে পড়েননি তারা, জিনিসপত্রের দামও এতটা বাড়তে দেখেননি তারা।
তালেবান ক্ষমতা নেওয়ার পর নারীদের কাজে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, সেইসঙ্গে রয়েছে তালেবানের নিত্যনতুন নিয়ম জারি। এসবের কারণেও অনেক পরিবার অর্থাভাবে পড়েছে।
এক নারী জানান, এর আগে এমন অর্থাভাব দেখেনি কাবুল। ভয়ের কথা হচ্ছে, প্রতিনিয়ত বাড়ছে এসব সমস্যা। তালেবানের নিত্যনতুন নিয়ম জারি তাদের জীবনকে প্রতিদিনই নতুন করে কঠিন করে ফেলছে, প্রতিনিয়তই নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন তারা।
এমন জীবন আফগানদের জন্য মোটেও প্রাপ্য নয় বলে জানান ওই নারী।
সূত্র: বিবিসি
এসবি