ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

পৃথিবীর বিখ্যাত ব্যক্তিদের ‘ক্ষমা প্রার্থনা’

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ০১:৪৩ পিএম, ১৩ জানুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৩:০৭ পিএম, ১৩ জানুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার

লকডাউনের বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করে মদের পার্টির আয়োজন করায় এখন সমালোচনায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। শেষ পর্যন্ত এর জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি। বিশ্বে বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের এমন ক্ষমা চাওয়ার ঘটনা অবশ্য এটিই প্রথম নয়। এরমধ্যে কোনও কোনও ‘ক্ষমা প্রার্থনা’ খুবই সংক্ষিপ্ত এবং দায়সারা, আবার কোনোটি আসলেই মন থেকে চাওয়া। এ ধরনের ক্ষমা প্রার্থনার কারণ, কখনও কেলেঙ্কারি, কখনও আবার ভুল কথা কিংবা ভুল সিদ্ধান্ত। চলুন জেনে নিই, বিশ্বের বিখ্যাত আরও কিছু ব্যক্তিত্বের ক্ষমা প্রার্থনার ঘটনা। 

টেরিজা মে:

বরিস জনসনের মতই ক্ষমাপ্রার্থী হয়েছিলেন তার পূর্বসূরি, প্রভাবশালী কনজারভেটিভ পার্টির নেতা যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে। যিনি ব্রেক্সিট ইস্যুতে ব্যর্থ হওয়ায় ২০১৯ সালে পদত্যাগ করেছিলেন। ২০১৭ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর দলীয়ভাবে তোপের মুখে পড়েন টেরিজা। এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ এমপিদের কাছে একান্ত বৈঠকে ক্ষমা চান তিনি। 

জাস্টিন ট্রুডো: 

জাস্টিন ট্রুডো কানাডার জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী। গেল বছর দুই দফা আমন্ত্রণ জানানোর পরেও একটি আদিবাসী এলাকা পরিদর্শনে যাননি তিনি, বরং সে সময় পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন ট্রুডো। এতে পরবর্তীতে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি, এবং পরে ওই আদিবাসী এলাকা ঘুরে দেখেন এবং সেখানকার আদিবাসীদের কাছে ক্ষমা চান।  

পার্ক জিয়ুন হায়: 

পার্ক দক্ষিণ কোরিয়ার একজন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, যিনি তার সরকারকে পঙ্গু করে দেয় এমন এক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি তিন বার ক্ষমা চেয়েছিলেন এবং বলেছিলেন , “এই সব ঘটেছে আমার দোষে, আমার অবহেলার কারণেই এমনটা হয়েছে।“ 

বিল ক্লিনটন: 

প্রথমে কয়েক মাস অস্বীকার করলেও শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪২ তম প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। ১৯৯৮ সালের আগস্টে তিনি স্বীকার করেছিলেন যে, তিনি হোয়াইট হাউজের একজন ইন্টার্ন মনিকা লিউইনস্কির সঙ্গে একটি অবৈধ সম্পর্কে জড়িত ছিলেন। এ জন্য পরে অনুশোচনা জানিয়েছিলেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন তিনি। 

এঙ্গেলা মেরকেল: 

মেরকেল জার্মানির প্রথম নারী চ্যান্সেলর, যিনি ২০০৬ সাল থেকে গেল মাস পর্যন্ত দেশটির নেতৃত্বে ছিলেন। মেরকেল গেল বছর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এর সময় ইস্টার ছুটির সময় একটি লকডাউন দীর্ঘায়িত করার পরিকল্পনা করেছিলেন। পরে সিদ্ধান্তটি ভুল ছিল বলেই স্বীকার করেছিলেন তিনি। 

মেল গিবসন: 

গিবসন একজন মার্কিন অভিনেতা, পরিচালক এবং প্রযোজক। ২০০৬ সালের জুলাইয়ে যিনি মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর সময় এক অফিসারের দ্বারা আটক হন এবং এ সময় তিনি মারাত্মকভাবে ইহুদিবিরোধী মন্তব্য করেন। এ জন্য পরে তিনি ক্ষমা চেয়েছিলেন। 

সূত্র: নিউ ইয়র্ক টাইমস

এসবি/