ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

বাউল ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়ানো ‘সিরিয়াল কিলার’ হেলাল গ্রেপ্তার (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:১৯ পিএম, ১৩ জানুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৪:৪৩ পিএম, ১৩ জানুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার

বাউলের বেশভূষা, করেছেন গানের মডেলিং। বাউল ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়ানো সিরিয়াল কিলার ও ফেরারি আসামি মো. হেলাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

 

বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে ভৈরব রেল স্টেশন থেকে তাকে গ্রেতফতার করে র‌্যাবের একটি দল।

প্রায় ছয় মাস আগে ইউটিউবের একটি গানের মডেল সম্পর্কে তথ্য আসে র‌্যাবের কাছে। অভিযোগ উঠে বাউলের অন্তরালে এই লোকটি বগুড়ার বিদ্যুৎ হত্যা মামলার আসামি। এরই প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করে র‌্যাব। বেড়িয়ে আসে চাঞ্চল্যকর আরও তথ্য।

কিশোরগঞ্জের ভৈরব স্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হয় বাউল সেলিম ওরফে মো. হেলাল হোসেনকে। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, একাধিক খুন করে সাত বছর ফেরারি ছিল হেলাল।

তিনি জানান, তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে জানতে পারি বিদ্যুৎ হত্যা মামলার যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী এই হেলাল হোসেন। এই ধারাবাহিকতায় গত ছয়মাস যাবৎ র‌্যাব-৩’র গোয়েন্দা দল ইউটিউবে বাউল গানের মডেল হিসেবে হেলাল হোসেন যে কাজ করেছে তার সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করে।

বাউল ছদ্মবেশে বিভিন্ন রেল স্টেশনে ঘুরে বেড়াতো হেলাল হোসেন। গোয়েন্দারা নিশ্চিত হয়, এই ব্যক্তিই একাধিক হত্যা মামলার আসামি।

খন্দকার আল মঈন জানান, এরই ধারাবাহিকতায় বাউল গানের ভিডিও ধারণ করার স্থান নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশনে গিয়ে এই চেহারার মানুষটিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করে র‌্যাবের দলটি। পরবর্তীতে তারা সেখান থেকে কিছু তথ্য পায়। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে গতকাল রাতে এই হেলাল হোসেনকে ভৈরব রেল স্টেশন থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

র‌্যাব কমান্ডার আরও জানান, গ্রেফতারকৃত হেলাল হোসেন এলাকায় বিভিন্ন নামে পরিচিত। তাকে কেউ বাউল সেলিং বলে, এলাকায় খুনি হেলাল ও লুলা হেলালও বলা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগ স্বীকার করেছে সিরিয়াল কিলার হেলাল। তার বিরুদ্ধে তিনটি হত্যাসহ মোট ৫টি মামলা রয়েছে।

মঈন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হেলাল চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। সে জানিয়েছে ২০০১ সালে বিদ্যুৎ হত্যাকাণ্ডের ৪ আসামির মধ্যে সে একজন। এছাড়াও স্বীকার করেছে সে ১৯৯৭ সালে বগুড়ায় বিশু হত্যাকাণ্ডে এজাহারনামীয় আসামি এবং ২০০৬ সালে রবিউল হত্যাকাণ্ডের চার্জশীটভুক্ত আসামি।

এএইচ/