হৃদয়-মুস্তাফিজ নৈপুণ্যে ফাইনালে দক্ষিণাঞ্চল
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:৪৬ পিএম, ১৩ জানুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৫:৫৯ পিএম, ১৩ জানুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার
৪টি উইকেট নেয়ার পথে মুস্তাফিজের একটি আবেদনে অন্যদের সঙ্গে আওয়াজ তোলেন স্লিপে দাঁড়ানো হৃদয়
বিধ্বংসী ইনিংস খেলেও দলকে কাঙ্ক্ষিত জয় এনে দিতে পারলেন না আবু হায়দার রনি। ব্যাট হাতে মাত্র ২৭ বলে ৫৪ করলেও বল হাতে নিষ্প্রভ ছিলেন বাঁহাতি পেসার। অন্যদিকে মুস্তাফিজের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর তৌহিদ হৃদয় ও পিনাক ঘোষের অর্ধশতকে চড়ে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট কাপের ফাইনালে পৌঁছল বিসিবি দক্ষিণাঞ্চল।
বৃহষ্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দক্ষিণাঞ্চলের বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল। টস জিতে বোলিং নেয়া দক্ষিণাঞ্চলের পক্ষে শুভ সূচনা এনে দেন মুস্তাফিজুর রহমান।
প্রথম ওভারেই মিজানুর রহমানকে (০) লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন জাতীয় দলের এই পেসার। এরপর ফিজের তৃতীয় ওভারে একটি শর্ট বলে পরাস্ত হয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ তুলে দেন সৌম্য। ১৪ বলে ৫ রান করেন বিদায় নেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
মাত্র ৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলা মধ্যাঞ্চলকে উদ্ধার করেন আব্দুল মজিদ ও তইবুর রহমান। তবে ৩৫ বলে ২৩ রান করা তাইবুর রহমানকে শিকার করেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। যাতে ৫৯ রানে ৩ উইকেট হারায় মধ্যাঞ্চল। চতুর্থ উইকেটে ৬৪ রানের জুটি গড়েন আব্দুল মজিদ ও মোসাদ্দেক।
৯৫ বলে ৪৬ রানের ধীরগতির ইনিংস খেলা আব্দুল মজিদকে অর্ধশতক বঞ্চিত করেন শেখ মাহেদী হাসান। আর অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত থামেন ৪৪ রানে। তার ৫৭ বলের ইনিংসের ইতি ঘটে মুস্তাফিজের শিকার হয়ে। দুই ওভার বাদে জাকের আলি অনিককেও শিকার করেন ফিজ। আর মাহেদীর বলে বোল্ড হন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। যাতে ১৭২ রানে ৮ উইকেট হারায় মধ্যাঞ্চল।
এরপরই বিধ্বংসী ইনিংস খেলে মধ্যাঞ্চলকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন আবু হায়দার রনি। ২৭ বলে ৫৪ রান করেন তিনি। তার ব্যাটিং তোপে মুস্তাফিজের শেষ ওভারে খরচ হয় ২১টি রান। শেষ ১৮ বলে মধ্যাঞ্চল পায় ৪৮ রানের সংগ্রহ। রনির ওই বিধ্বংসী ইনিংসে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কার মার।
দক্ষিণাঞ্চলের পক্ষে মুস্তাফিজ ১০ ওভারে ৬৩ রান দিয়ে ৪টি এবং মাহেদী হাসান ২৬ রান দিয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেন।
জবাব দিতে নেমে বেশ ধীর গতিতেই শুরু করে দক্ষিণাঞ্চল। ৩৯ বলে ২৪ রান করে বিদায় নেন ওপেনার এনামুল হক বিজয়। ২৬ বলে ৭ রান করেন সাজঘরে ফেরেন মাইশুকুর রহমানও। আরেক ওপেনার পিনাক ঘোষ ধীরগতিতে অর্ধশতক হাঁকান। ৭৯ বলে ৫৪ রান করে তিনি শিকার হন হাসান মুরাদের।
অর্ধশতক হাঁকান হৃদয়ও। তবে জাকির হাসান বিদায় নেন ৪৯ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলে। তবুও জয়ের পথেই ছিল দক্ষিণাঞ্চল। নেমেই দ্রুত রান তুলে সমীকরণ আরও সহজ করে দেন নাহিদুল ইসলাম। ১৫ বলে ২২ রানের ক্যামিও দেখিয়ে তিনি বিদায় নিলেও পথ হারায়নি দক্ষিণাঞ্চল।
৭৮ বলে ৬৫ রানে হার না মানা ইনিংস খেলে দক্ষিণাঞ্চলের জয় নিশ্চিত করেন তৌহিদ হৃদয়। ফলে ৮ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় পায় দক্ষিণাঞ্চল। ফাইনালে পৌঁছানো এই জয়ে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী সদস্য হৃদয়।
এনএস//