পণ্টের লড়াকু শতকে প্রোটিয়াদের লক্ষ্য ২১২
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৩৯ পিএম, ১৩ জানুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৯:৪০ পিএম, ১৩ জানুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার
সেঞ্চুরি পূরণের পর পণ্টের উদযাপন
ব্যাট হাতে সমালোচকদের মোক্ষম জবাবটাই দিলেন ঋষভ পণ্ট। বিদেশের মাটিতে দলের প্রয়োজন মুহূর্তেই জ্বলে উঠলেন ভারতের তরুণ এই উইকেটকিপার-ব্যাটার। ঝকঝকে শতক হাঁকিয়ে মান বাঁচালেন ভারতের। যাতে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে ২১২ রানের লক্ষ্য দিতে পারল কোহলির দল।
মূলত পণ্টের লড়াকু শতকেই দ্বিতীয় ইনিংসে ২১১ রানের লিড পার করে ভারত। সঙ্গীর অভাবে ঠিক একশ রান করেই অপরাজিত থাকেন পণ্ট। যার ফলে কেপ টাউনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২২৩ রান করার পর ভারত তাঁদের দ্বিতীয় ইনিংসে থামে ১৯৮ রানে।
জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২১০ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩ রানেই এক উইকেট হারিয়ে লড়ছে প্রোটিয়ারা।
এবারের দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে পণ্টের শট নির্বাচন থেকে বাজে ফর্ম- এ সবই ছিল আলোচনায়। সাবেকদের কেউ কেউ তাঁকে ছেঁটে ফেলার দাবিও জানিয়েছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার পণ্ট সবাইকে ভুল প্রমাণ করে বিদেশের মাটিতে ফের নিজের ব্যাটিং প্রতিভার ছাপ রাখলেন।
আগ্রাসী অথচ নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিং করেই পণ্ট ১৩৯ বলে করলেন অপরাজিত ১০০ রান। নিজের লড়াকু ইনিংসটি সাজালেন ৬টি চার ও ৪টি ছয়ের মারে। ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট শতরানের স্বাদ পেলেন পণ্ট। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার পর এবার দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতেও সেঞ্চুরি করলেন এই উইকেটকিপার-ব্যাটার। সেই সঙ্গে বছর চব্বিশের এই ক্রিকেটার বুঝিয়ে দিলেন যে, কেন তাঁর ওপরেই অগাধ আস্থা টিম ম্যানেজমেন্টের।
এদিন ভারতের প্রথম তিন উইকেট চলে যায় ৫৭ রানেই। এ অবস্থায় পণ্ট প্রথমে বিরাট কোহলির সঙ্গে ৫০ রানের যুগলবন্দি করে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন। কিন্তু কোহলি মাত্র ২৯ রান করেই লুঙ্গি এনগিদির বলে মার্করামের হাতে ক্যাচ তুলে দিলে একাই ক্রিজ আগলে লড়াই চালিয়ে যান পণ্ট।
অবশ্য কোহলি ফিরে যাওয়ার পর পণ্ট এদিন এমন একজনকেও পাননি, যিনি তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিবেন! অশ্বিন থেকে শুরু করে, শার্দূল ঠাকুর, উমেশ যাদব, মোহাম্মদ শামি, জসপ্রীত বুমরারা তো এলেন আর গেলেন। কেউই দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি এদিন।
তবে একা লড়াই চালিয়েই একশ করে তবেই অপরাজিত থেকে যান পণ্ট। যাতে ১৯৮ রানেই থামে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে মার্কো জানসেন ৪টি এবং কাগিসো রাবাদা ও লুঙ্গি এনগিদি ৩টি করে উইকেট ভাগ করে নেন।
এদিকে, তৃতীয় দিনের তৃতীয় সেশনে ২১২ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালোভাবে করলেও অষ্টম ওভারের মাথায় মাত্র ২৩ রানেই প্রথম খুইয়ে বসে স্বাগতিকরা। অনেকটা ওয়ানডে স্টাইলে চারটি চারের মারে ২১ বল থেকে ১৬ রান করা এইডেন মার্করাম পরের বলেই সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ শামির শিকার হয়ে।
তবে প্রথম ইনিংসে দারুণ ব্যাট করে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলা কিগান পিটারসেনকে (৩২) নিয়ে কাঙ্ক্ষিত জয়ের লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছেন দেখেশুনে খেলা অধিনায়ক ডিন এলগার (৩০)। যাতে প্রোটিয়াদের স্কোর গিয়ে পৌঁছেছে ৮৫ রানে, ওই এক উইকেটেই।
এনএস//