মুদ্রাস্ফীতিতে আমেরিকা, পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:১৮ এএম, ১৪ জানুয়ারি ২০২২ শুক্রবার
করোনাকালের শুরু থেকেই মুদ্রাস্ফীতির সংকটে পড়েছে আমেরিকা। যা এই বছরের শুরুতে আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। ২০২১ সালে দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতি পাঁচ দশমিক পাঁচ শতাংশে পৌঁছেছিল। যা এ বছরের শুরুতেই ৭ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে বলে সতর্ক করেছে দেশটির সর্বোচ্চ ব্যাংক। গত ৪০ বছরে অর্থনীতির এমন সংকটের মুখে পড়তে হয়নি দেশটিকে।
মূলত করোনা পরিস্থিতির কারণেই অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছিল আমেরিকার প্রশাসন। যদিও অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল জো বাইডেনের সরকার। এ জন্য বেশ কিছু পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছিলেন বাইডেন। কিন্তু বাস্তবে এতে তেমন লাভ হয়নি বলেই মনে করছেন দেশটির অর্থনীতিবিদেরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বছরের মত মূদ্রস্ফীতি সবশেষ ১৯৮২ সালের জুন মাসে দেখা গেছে। আর গেল বছর ২০২১ সালের মুদ্রাস্ফীতির মত পরিস্থিতি সবশেষ ছিল ১৯৯১ সালে।
ক্রমবর্ধমান এই মুদ্রাস্ফীতির জেরেই বাজার দর অনেক বেড়ে গেছে। বাড়ি ভাড়া থেকে শুরু করে সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়ি, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস থেকে কাঁচা বাজার সব কিছুর দামই ঊর্ধ্বমুখী।
গত কিছুদিনে দেশটিতে বাড়িভাড়া বেড়েছে চার দশমিক এক শতাংশ। খাবারের দাম বেড়েছে ছয় দশমিক তিন শতাংশ। পুরনো গাড়ির দাম বেড়েছে ৩৭ দশমিক তিন শতাংশ। এছাড়াও জামাকাপড়, জুতো, ওষুধ সব কিছুরই দাম বেড়েছে। এবং ক্রমশ বেড়েই চলেছে।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অবশ্য বুধবারও মার্কিন জনগণকে আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘এখনই মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। বিশ্বজুড়ে করোনা প্রকোপের জন্যই এমনটা ঘটেছে। অর্থনীতি যাতে ঘুরে দাঁড়াতে পারে, তার জন্য সরকার সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে। ফলে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। দ্রুত এই পরিস্থিতি থেকে সাধারণ মানুষ মুক্তি পাবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।’’
কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন নাগরিকদের কাছে এখন মুদ্রাস্ফীতি সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয়। করোনার চেয়েও এ বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে বেশি। সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত। বস্তুত, সর্বোচ্চ মার্কিন ব্যাংকও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। দ্রুত এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন বলেও সরকারকে তারা জানিয়েছে।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে
এমএম/এসবি