‘কোভিডকে ভয়াবহ করে তুলছে মানুষেরই একটি জিন!’
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৪২ এএম, ১৫ জানুয়ারি ২০২২ শনিবার
বিশ্বজুড়ে ফের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে গিয়েছে। প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ সংক্রমিত হচ্ছেন। কিন্তু কোভিডের শুরু থেকেই এর ভয়াবহতার ক্ষেত্রে বৈষম্য দেখা গেছে। কারও কারও ক্ষেত্রে যতটা ভয়াবহ হয়ে ওঠে অন্যের ক্ষেত্রে ততটা নয়। মানুষের মধ্যে কোভিড সংক্রমণের এই বৈষম্যের অন্যতম কারণ খুঁজে পাওয়া গেছে।
পোল্যান্ডের এক গবেষণায় দেখা গেছে, মানবদেহের একটি জিন কোভিডের ভয়াবহ হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে। জিনটির উপস্থিতি ও অতি সক্রিয়তা কোভিডের ভয়াবহ হয়ে ওঠার আশঙ্কা কয়েক গুণ বাড়িয়ে তোলে। গবেষণায় এও দেখা গেছে, ভারতীয় নাগরিকদের ২৭ শতাংশের শরীরেই এই জিনটি রয়েছে। আর তা রয়েছে অতি সক্রিয় অবস্থাতেই।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, এই গবেষণার ফলাফল কোন রোগীর ক্ষেত্রে কোভিডের ভয়াবহ হয়ে ওঠার আশঙ্কা বেশি তা চিকিৎসকদের আগেভাগে বুঝতে সাহায্য করবে।
পোল্যান্ডের ‘মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব বায়ালিস্টক’-এর জিন বিশেষজ্ঞদের সাম্প্রতিক গবেষণা এই খবর দিয়েছে। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘নেচার জেনেটিক্স’-এ।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যাডাম নিঝেলস্কি বলেছেন, ‘‘গত দেড় বছরের গবেষণায় এই প্রথম এই জিনটির হদিশ পাওয়া গেল। এর ফলে কোভিড কার ক্ষেত্রে ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে তা অনেক আগেভাগেই বুঝতে পারবেন চিকিৎসকরা।’’
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যারা কোভিড টিকা নিতে তেমন উৎসাহ এখনও দেখাচ্ছেন না তাদের দেহে এই জিন থাকলে তাদেরও টিকা নেওয়ার ব্যাপারে উৎসাহী করে তোলা যাবে। তাতে সার্বিক টিকাকরণের কাজও ত্বরান্বিত হতে পারে। আবার কোভিড রোগীদের সঠিক চিকিৎসাও অনেক আগেই শুরু করা যাবে।
গবেষকরা দেখেছেন, বয়স, শরীরের ওজন এবং লিঙ্গভেদে এই মানব জিনটির ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে কোভিডের ভয়াবহ হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে।
গবেষণা জানিয়েছে, ভারতের জনসংখ্যার ২৭ শতাংশের দেহেই এই জিনটি পাওয়া গেছে। এই জিনটি রয়েছে পোল্যান্ডের নাগরিকদের ১৪ শতাংশের দেহে। আর ইউরোপের দেশগুলোর নাগরিকদের ৮ থেকে ৯ শতাংশের দেহে এই জিনের হদিশ মিলেছে।
গত বছর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায়ও এমন একটি জিনের কথা বলা হয়েছিল। ব্রিটেনে কোভিড রোগীদের বেশির ভাগেরই শরীরে এর সক্রিয়তা ছিল চোখে পড়ার মতো।
এএইচ/