ঢাকা, রবিবার   ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৭ ১৪৩১

‘নির্বাচনে যারা হুমকি হতে পারে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:২৩ পিএম, ১৫ জানুয়ারি ২০২২ শনিবার | আপডেট: ০৫:২৩ পিএম, ১৫ জানুয়ারি ২০২২ শনিবার

নারায়ণগঞ্জে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যারা হুমকি হতে পারে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোস্তাইন বিল্লাহ।

শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন তিনি।

নারায়ণগঞ্জ প্রশাসনের ওই কর্মকর্তা বলেন, “আমাদের পুলিশ সুপার ও র‌্যাব কর্মকর্তারা আছেন। আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত আছে। নির্বাচনের জন্য যারা থ্রেট হতে পারে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আশা করি সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন।”

নির্বাচনের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের অভিযোগ প্রসঙ্গে মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, “আমরা আমাদের স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছ থেকে লিখিত, ফোনে বা অন্য কোনো মাধ্যমে কোনো অভিযোগ পাইনি। আমরা আমাদের ইলেকশনের রুটিন ওয়ার্ক করছি। দাগী আসামিদের বিরুদ্ধেই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।”

জেলা প্রশাসক বলেন, “আমরা ভোটের সব সরঞ্জাম পৌঁছে দিয়েছি। আমাদের ম্যাজিস্ট্রেটরা কাজ করছে। আমাদের আরও ৩০ জন ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করবে। আমাদের পুলিশে ৭৫টি টিম ও ৬৫টি র‌্যাবের টিম মাঠে থাকবে। বিজিবিও আমাদের সঙ্গে কাজ করবে।”

সিসি ক্যামেরা খুলে ফেলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের সব কেন্দ্রে সিটি ক্যামেরা নেই। কিছু কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা আছে সেগুলো খুলে ফেলার মতো কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। আমরা সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত আছে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে।”

বহিরাগতদের উপস্থিতি প্রসঙ্গে ডিসি বলেন, “নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের কথা জানি না সেটা সরকারি প্রতিষ্ঠান নয়। এছাড়া কোনো সরকারি বাসস্থানে প্রশাসনের লোক ছাড়া কাউকে স্থান দেয়া হয়নি। আমরা সব সেন্টারকে গুরুত্ব সহকারে দেখছি। সবাই নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারবে।”

ডিসি বলেন, “আমাদের করোনা প্রটোকল মেনে ভোট দিতে হবে। সেন্টারে সুরক্ষা সামগ্রী থাকবে। আমরা সে ব্যাপারে সচেতন আছি। আমরা প্রার্থীদের প্রতি আহ্বান জানাবো সবাইকে সচেতন করতে। এতদিন সবাই অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে প্রচারকাজ চালিয়েছেন। আশাকরি আগামীকালও এমন শান্তিপূর্ণ পরিবেশই আপনারা বজায় রাখবেন।”

জেলা প্রশাসক বলেন, “আমরা এখন পর্যন্ত ২০০ মামলা করেছি। একজনকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে এবং লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করেছি নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য।”

আরকে//