ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

পাঁচবার করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন খোদ চিকিৎসক!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০০ পিএম, ১৯ জানুয়ারি ২০২২ বুধবার

কিছুদিন আগেই বিহারের ৮৪ বছরের এক বাসিন্দা বলেছিলেন, তিনি গত এক বছরে ১১ বার করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন। এবার জানা গেল, সেই বিহারেরই এক চিকিৎসক ৫ বার করোনাবাইরাসের টিকা নিয়েছেন। ঘটনাটি প্রকাশ্য আসার পরই তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে বিহারের পাটনা শহরে। 

পাটনার বাসিন্দা ওই চিকিৎসকের নাম বিবা কুমারী সিং। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, একজন চিকিৎসক হয়েও তিনি টিকাকরণের যাবতীয় নিয়ম ভেঙেছেন। ইতোমধ্যেই পাঁচবার টিকা নিয়েছেন তিনি। যদিও ওই চিকিৎসক দাবি করেছেন, তিনি নিয়ম মেনে এখন পর্যন্ত মোট তিনবার ভ্যাকসিন নিয়েছেন।

ভারতের কো-উইন পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী ওই চিকিৎসক প্রথমবার টিকা নেন গত বছর জানুয়ারি মাসের ২৮ তারিখে। নিয়ম অনুযায়ী ২০২১ সালের মার্চে দ্বিতীয় ডোজ সম্পূর্ণ হয় তার। তবে পোর্টালের তথ্য বলছে এর বাইরেও টিকা নিয়েছেন তিনি। প্যান কার্ডের তথ্য দিয়ে গত বছরে ৬ ফেব্রুয়ারি ও ১৭ জুনেও তিনি টিকা নিয়েছেন। এরপর সম্প্রতি ১৩ জানুয়ারি ২০২২-এ বুস্টার ডোজ নেন।

চিকিৎসকের বিরুদ্ধে টিকার নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখানোর অভিযোগ ওঠায় তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে পাটনায়। সেখানকার জেলাশাসক চন্দ্রশেখর সিং জানিয়েছেন, প্রশাসন তদন্ত শুরু করেছে। দোষ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, এর আগে বিহারের বাসিন্দা ৮৪ বছরের বৃদ্ধের ১১ বার ভ্যাকসিন নেওয়ার ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় গোটা দেশে। জানা গিয়েছিল, ব্রহ্মদেব নামের ঐ বৃদ্ধ  মাধেপুরা জেলার একটি ভ্যাকসিনেশন সেন্টারে দ্বাদশ টিকাটি নিতে গেলে ধরা পড়ে যান।

ব্রহ্মদেব দাবি করেছিলেন, ১১ বার ভ্যাকসিন নিয়ে তিনি খুব উপকার পেয়েছেন। প্রবীণের বক্তব্য ছিল, “আমার প্রচুর উপকার হয়েছে ভ্যাকসিন নিয়ে। সেই কারণেই আমি বারবার ভ্যাকসিন নিয়েছি।”

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
এমএম/