ঢাকা, সোমবার   ০৭ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২১ ১৪৩১

তারকাদের ডিভোর্স নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি কেন? প্রশ্ন শ্রীলেখার 

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ০১:১৮ পিএম, ১৯ জানুয়ারি ২০২২ বুধবার | আপডেট: ০১:৪১ পিএম, ১৯ জানুয়ারি ২০২২ বুধবার

ছবি করতে গিয়ে জুটি বেঁধেছে অনেকেই। আবার এর মধ্যে কিছু জুটি হয়েছে অনুরাগীদের কাছে আদর্শ জুটি। তাদের সবকিছুই অনুরাগীদের কাছে অনুকরণীয়। আইকনদের সুখ-দুঃখে অনুরাগীদেরও সুখ-দুঃখ হয় গভীর হৃদয়ের সংযোগের কারণেই। তাই জুটিরাই যখন একে-অপরের থেকে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তখন মন ভাঙে হাজার হাজার অনুরাগীর। ২০২১ সালে বিচ্ছেদ তালিকাও অনেক বড়, বহু তারকার নামই রয়েছে এই তালিকায়। আর এই বিষয়েই বাঙালি অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র দিয়েছেন কিছু পরামর্শ।

তারকাদের উদ্দেশে তিনি লিখেছেন, তারকারা যেন তাদের ব্যক্তিগত জীবন সকলের সামনে আনা থেকে বিরত থাকেন। সঙ্গে বিচ্ছেদের পর একে-অপরকে দোষ দেওয়া, একে-অপরকে নিন্দাও যেন না করেন সকলের সামনে। 

তিনি  সোশ্যাল মিডিয়ায় আরো লিখছেন, ‘আমার একটা প্রশ্ন করার আছে তাদের কাছে যারা তারকাদের নিয়ে গসিপ করতে ভালোবাসেন, আমাদের কি সত্যি জীবন এত রঙিন যে আপনারা চর্চা করেন?

মানুষ তারকাদের ব্যাপারে তখনই বেশি কথা বলেন, যখন তাদের ব্রেকআপ বা ডিভোর্স হয়। আর সেটা বেশি হয় যখন তারা একে-অপরের সমালোচনা শুরু করেন। ফলে লোক চর্চা করার বেশি উৎসাহ ও বিষয়বস্তু পেয়ে যান। মানুষ যা ইচ্ছে বলতে শুরু করেন, আর তার ফলে চিপ পাবলিসিটি শুরু হয়ে যায়।’ 

শ্রীলেখা তার পোস্টে লেখেন তিনি মনে করেন তারকারা নিজেরাই চাইলে এগুলো বন্ধ করতে পারেন। তিনি তার সহকর্মী, তারকা বন্ধুদের অনুরোধ জানান, তারা যেন নিজেদের বিচ্ছেদের খবর এভাবে সকলের সামনে ঘোষণা না করেন। এই ধরনের খবরকে যেন পাবলিক প্রপারটি না বানান। 
প্রশ্ন তোলেন, কেন বিচ্ছেদের কথা সবাইকে জানাতে হবে?  

সঙ্গ বিচ্ছেদের পর একে অপরকে দোষ দেওয়া নিয়েও লেখেন শ্রীলেখা। একে অপরকে সকলের সামনে খারাপ দেখানোর কি প্রয়োজন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। 

তার মতে, ডিভোর্স হয়ে গেলেও বা ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলেও উচিত ভালো ব্যাপারগুলো নিয়ে চর্চা করা। শ্রীলেখা আরও জানান, যেমনটা করে থাকেন তিনি ও তার প্রাক্তন স্বামী। তাদের সেপারেশন হয়ে গেলেও কোনওদিন একে-অপরের নামে খারাপ কথা বলেননি বলেই জানান শ্রীলেখা। সঙ্গে বলেন আর এই কারণেই তার মেয়ে একটি সুস্থ পরিবেশে বড় হয়ে উঠতে পারছে।

সূত্রঃ হিন্দুস্তান টাইমস

এসবি/