নির্বাচনে চাপে ফেলতেই শিমু হত্যায় জড়ানোর অভিযোগ জায়েদ খানের
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:৩৮ পিএম, ১৯ জানুয়ারি ২০২২ বুধবার
আগামী ২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২০২৪ সালের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মাত্র ৯ দিন আগে উদ্ধার করা হয় সমিতির সাবেক সদস্য ও নায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর বস্তাবন্দি লাশ। ১৮৪ জন চলচ্চিত্র শিল্পীর ভোটাধিকার হারানোর তালিকায় ছিল প্রয়াত এই অভিনেত্রী নামও। আর সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের সঙ্গে একাধিকবার দ্বন্দ্বেও জড়িয়েছেন তিনি।
তাই তার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অভিযোগের তীর জায়েদ খানের দিকেও অনেকে ধরেছেন। বিষয়টি এই নায়কের কানে আসা মাত্রই উপস্থিত সহকর্মীদের সঙ্গে ফেইসবুক লাইভে আসেন জায়েদ। জানান, নির্বাচনকে কলঙ্কিত করার জন্যই তার নামের সঙ্গে শিমুকে জড়ানো হচ্ছে।
এই অভিনেতা বলেন, ‘‘একদল লোক আছে যারা সুন্দর একটি নির্বাচনকে কলঙ্কিত করতে চাচ্ছে। এরা সবখানে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে! একটা হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তার বিচার চাইবে কী, সেটা নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচনে আমাকে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে। আমি চাই, প্রকৃত খুনিদের খুঁজে বের করা হোক।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘অনেকেই বলে বেড়াচ্ছে, শিমুর সঙ্গে নাকি আমার গত ১২ তারিখ ঝগড়া হয়েছে। অথচ বিশ্বাস করুন, বিগত দুই বছর আমার সঙ্গে তার কোনও কথাই হয়নি। এমনকি সামনাসামনি দেখাও হয়নি। কিন্তু মানুষ এসব মিথ্যে বলে আমাদের সুনাম নষ্ট করছে।’’
সেই লাইভে শিমুর ভাই শহিদুল ইসলাম খোকনও ছিল। তিনি জানান, সোমবার সন্ধ্যায় শিমুর খোঁজ না পেয়ে জায়েদ খানের কাছে গিয়েছিলেন। পরে এই চিত্রনায়ক তাকে সহযোগিতা করেন।
এদিকে, পুলিশের কাছে শিমু হত্যার দায় স্বীকার করেছে তার স্বামী সাখাওয়াত আলীম নোবেল। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার রাতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রাতভর জেরার পর দায় স্বীকার করে নোবেল। বুধবার তাকে সহ তার এক বন্ধুতে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, সোমবার কেরানীগঞ্জ হযরতপুর ব্রিজের পাশ থেকে বস্তাবন্দি চিত্রনায়িকা শিমুর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়। এদিন রাতেই শিমুর পরিবার মর্গে তার মরদেহ শনাক্ত করে।
এমএম/