লঞ্চে আগুন: তিন মালিকসহ ৭ জনের জামিন নামঞ্জুর
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৪২ পিএম, ১৯ জানুয়ারি ২০২২ বুধবার
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলার মামলায় লঞ্চের তিন মালিকসহ ৭ জনের জামিন নামঞ্জুর করেছে আদালত।
বুধবার নৌ-আদালতের বিচারক স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জয়নাব বেগমের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এই মামলায় যাদের জামিন নামঞ্জুর করা হয়েছে তারা হলেন- মেসার্স আল আরাফ অ্যান্ড কোম্পানির তিন মালিক মো. হামজালাল শেখ, মো. শামিম আহম্মেদ ও মো. রাসেল আহাম্মেদ। লঞ্চের ইনচার্জ মাস্টার মো. রিয়াজ সিকদার, ইনচার্জ চালক মো. মাসুম বিল্লাহ, দ্বিতীয় মাস্টার মো. খলিলুর রহমান ও দ্বিতীয় চালক আবুল কালাম।
জামিন প্রার্থনায় আসামিপক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন মালিকদের নির্দোষ দাবি করে বলেন, ‘দুর্ঘটনার সময় তারা নৌযানে ছিলেন না। তারা এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী নয়।’
অপরদিকে, নৌ-আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুঁলি বেল্লাল হোসাইন জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, ‘যে সম্পদ থেকে আমরা অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা ভোগ করি তার দায়-দায়িত্ব এড়ানোর কোন সুযোগ নেই। লঞ্চটি যথাযথ ব্যবস্থাপনায় পরিচালনা না করার দায় মালিক এড়াতে পারেন না।’
এর আগে ২ জানুয়ারি নৌ-আদালতের বিচারক স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জয়নাব বেগমের আদালতে লঞ্চের ইনচার্জ চালক মো. মাসুম বিল্লাহ ও দ্বিতীয় চালক আবুল কালাম আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।
আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
গত ২৮ ডিসেম্বর একই আদালতে লঞ্চের ইনচার্জ মাস্টার মো. রিয়াজ সিকদার ও দ্বিতীয় মাস্টার মো. খলিলুর রহমান আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ২৬ ডিসেম্বর স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জয়নাব বেগমের নৌ-আদালতে নৌ-অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক মো. শফিকুর রহমান স্পেশাল মেরিন আইনের ৫৬/৬৬ ও ৭০ ধারায় অভিযোগ এনে আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আদালত মামলা আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৩ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ৩টায় অভিযান-১০ লঞ্চের ইঞ্জিন রুমে আগুন লাগে। আগুনে পুড়ে মারা যান অর্ধশত যাত্রী এবং আনুমানিক ১৫০ জন যাত্রী দগ্ধ হন।
এএইচ/