চা শিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধি
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১০:৫০ এএম, ২০ জানুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১১:০৬ এএম, ২০ জানুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার
অতীতের সকল রেকর্ড অতিক্রম করে এবছর চায়ের বাম্পার ফলন হয়েছে। যা প্রমাণ করে কোভিড পরিস্থিতি থাকা সত্ত্বেও দেশে চা শিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশ চা বোর্ড প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সঠিক ব্যবস্থাপনার ফলে করোনাকালেও ২০২১ সালে দেশের ১৬৭টি চা বাগানে রেকর্ড পরিমাণ ৯৬.৫০৬ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। যা গত বছরের (২০২০) চেয়ে ১০.১১১ মিলিয়ন কেজি বেশি।
চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো: আশরাফুল ইসলাম জানান, কোভিড পরিস্থিতিতেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশের সকল চা বাগানের সার্বিক কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। সরকারের আর্থিক প্রণোদনা, চা বোর্ডের নিয়মিত মনিটরিং ও পরামর্শ, মালিক ও শ্রমিকদের নিরলস প্রচেষ্টা, ভর্তুকি মূল্যে সার বিতরণ, স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিলাম কেন্দ্র চালু রাখা, শ্রমিকদের মজুরি, রেশন এবং স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণের ফলে ২০২১ সালে দেশের চা উৎপাদন অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িছে।
তিনি আরও বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতেও উৎপাদনের এ ধারাবাহিকতা থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, চা শিল্পের সক্ষমতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের পরিচালক ড. রফিকুল হক জানান, চা বোর্ডের চেয়ারম্যানের নিদের্শনায় চা বাগানগুলোতে বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে ‘ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ স্কুলে’র মাধ্যমে চা আবাদ বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান এবং আধুনিক প্রযুক্তি সরবরাহের ফলে সমতলের চা বাগান ও ক্ষুদ্র চা চাষ থেকে এ বছর গত বছরের তুলনায় ৪১ শতাংশ বেশি চা উৎপাদন সম্ভব হয়েছে।
গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলী বলেন, ২০২০ সালে দেশে ৮৬.৩৯৪ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়েছিল। এবছর ১০ মিলিয়নের কিছু বেশি চা অতিরিক্ত উৎপাদন হয়েছে। এর কারণ হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যানের সঠিক নেতৃত্ব ও দিক নির্দেশনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে জানান তিনি।
চা সংসদের সিলেট ব্রাঞ্চ চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ শিবলী জানান, এ বছর চায়ের উৎপাদন আরু বেশি হতো যদি উৎপাদন মৌসুম শুরুর দিকে চা শিল্প খড়ার মুখে না পড়তো। চায়ের উৎপাদন অনেকটা প্রকৃতির উপর নির্ভর করতে হয়।
শ্রীমঙ্গল জেরিন চা বাগানের উপ-মহাব্যবস্থাপক সেলিম রেজা জানান, এবছর তুলনামাফিক বৃষ্টির পরিমাণ ছিল কম। উৎপাদন ধরে রাখার জন্য কৃত্রিম সেচ দিতে হয়েছে। তবে, পরিশ্রমের পর আশানুরূপ উৎপাদন হওয়ায় খুশি তারা।
এএইচ/