ফেসবুকে ‘মৃত’ ঘোষণা, বিরক্ত তসলিমা লিখলেন ‘পরকালের’ অভিজ্ঞতা!
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:১৪ পিএম, ২০ জানুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০২:১৫ পিএম, ২০ জানুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার
তসলিমা নামটা শুনলেই যেনো আলোচনা টগবগিয়ে ওঠে। ভালো-মন্দ মিলে মিশে তিনি সব সময় আলচনার শীর্ষেই থাকেন। আর এবার ঘটল একটি আশ্চর্য ঘটোনা, যা নিয়েও আলোচনার শেষ নেই।সম্প্রতি শাঁওলি মিত্রের মৃত্যুর পরে, তাকে নিয়ে একটি লেখা ফেসবুকে লেখেন তসলিমা নাসরিন। সেখান থেকেই জটিলতার শুরু। এর পরেই ফেসবুকের পক্ষ থেকে লেখিকাকে ‘মৃত’ ঘোষণা করে দেওয়া হয়। প্রোফাইলে নামের পাশে বসে যায় ‘রিমেমবারিং’ শব্দ। আর তাতেই ঘাবড়ে যান লেখিকার অনুরাগীরা।
তারপরে যদিও বিষয়টি লেখিকা সামলিয়েছেন নিজস্ব ভঙ্গিতেই। এ নিয়ে যে তিনি বিরক্ত সে কথা বুঝিয়ে দিয়েছেন লেখার মাধ্যমে।
‘মরণের পরে’ কী কী হয়েছিল, তাও লিখেছেন বিস্তারিতভাবে। কীভাবে সেখানে থেকে ফিরে এলেন, সেটিও ফেসবুকেই জানিয়েছেন।
লেখিকা প্রথমে ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘আমি চাই আমার মৃত্যুর খবর প্রচার হোক চারদিকে। প্রচার হোক যে আমি আমার মরণোত্তর দেহ দান করেছি হাসপাতালে, বিজ্ঞান গবেষণার কাজে। কিছু অঙ্গ প্রতিস্থাপনে কারও জীবন বাঁচুক। কারও চোখ আলো পাক। প্রচার হোক, কিছু মানুষও যেন প্রেরণা পায় মরণোত্তর দেহ দানে।’
এর পরেই ফেসবুকের পক্ষ থেকে লেখিকাকে ‘মৃত’ ঘোষণা করা হয়।
‘জীবন ফিরে পেয়ে’ এর জবাবে তসলিমা ফেসবুকে প্রথমেই লেখেন, ‘পুনরুত্থান’। তাতেই অনুরাগীদের মন্তব্যের ঢল নামে লেখিকার ফেসবুকের দেওয়ালে।
এর পরে তিনি লেখেন, ‘জি-হা-দিদের প্ররোচণায় ফেসবুক আমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছিল প্রায় একুশ ঘণ্টা আগে। এই একুশ ঘন্টায় আমি পরকালটা দেখে এসেছি।’
এর পরে পরকালে অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘উনি তো আমাকে হাত ধরে নিয়ে গেলেন, আমার জন্য বিশাল খানাপিনার আয়োজন করেছিলেন। খেয়ে দেয়ে বিশ্রামও নিলাম কিছুক্ষণ। হুরগুলো ঘুরঘুর করছিল পায়ের কাছে। দুটো ফুটফুটে গেলবান আমাকে রূপার গ্লাসে দ্রাক্ষারস পান করতে দিল। পান শেষ হওয়ার পর উনি এসে বললেন 'যাও সাগরগুলোয় সাঁতরে এসো। একটি দুধের, একটি মদের, আরেকটি মধুর সাগর'। আমি মধুর সাগরে সাঁতরে উঠে এলাম। উনি বললেন, 'একটু দুধ আর মদের সাগরেও সাঁতরাও।' আমি বললাম, ' না না আমি দুধ মদ কোনওটাই তেমন পছন্দ করি না, আপনি যদি বেদানার রসের কোনও সাগর বানাতেন, তাহলে অনেকক্ষণ সাঁতরানো যেত'। উনি বললেন, 'দাঁড়াও, কাল থেকেই লোক লাগিয়ে দেব সাগর খোদার জন্য, বেদানার রসের একটা সাগর আমি বানাবোই'। এরপর উনি আমাকে বেহেস্ত আর দোযখগুলো ঘুরিয়ে দেখালেন । আমার জন্য বেহেস্তের মনোরম যে জায়গাটি বরাদ্দ রেখেছেন, সেটিও দেখালেন।’
তসলিমা লেখা শেষ করেছেন এই বলে যে, ‘আমার ডানাওয়ালা ঘোড়াটা দাঁড়ানো ছিল কাছেই। তার পিঠে চড়ে বললাম, 'এ আমার টেম্পোরারি ভিজিট ছিল। এরপর পার্মানেন্ট যখন আসবো, তখন অনেক গল্প হবে, কেমন?' উনার চোখ ভিজে উঠলো। একটি ফ্লাইং কিস ছুড়ে দিলেন।’
সূত্রঃ হিন্দুস্থান টাইমস
আরএমএ