টোঙ্গায় অস্ট্রেলিয়ার ত্রাণ বিমান, কোভিড শনাক্তে বিতরণ ব্যাহত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:০৪ পিএম, ২১ জানুয়ারি ২০২২ শুক্রবার | আপডেট: ১২:২১ পিএম, ২১ জানুয়ারি ২০২২ শুক্রবার
আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ও সুনামিতে বিপর্যস্ত প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপদেশ টোঙ্গায় দেখা দিয়েছে খাবার ও পানির সঙ্কট। এরইমধ্যে অস্ট্রেলিয়া থেকে ত্রাণবাহী বিমান পৌঁছেছে দেশটিতে। তবে ওই বিমানে এক জন কোভিড শনাক্ত হওয়ায় আপাতত ত্রাণ খালাস করা বন্ধ রয়েছে। এদিকে নিউ জিল্যান্ডের ত্রাণবাহী জাহাজ পৌঁছানোর কথা রয়েছে শুক্রবার।
আগ্নেয়িগিরির উদগীরণ এবং সুনামিতে বিপর্যস্ত হওয়ার পাঁচদিন পর বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার ত্রাণ বিমান পৌঁছে টোঙ্গায়।
টোঙ্গার প্রধান বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে আগ্নেয়গিরির ছাই পরিষ্কার করার পর ওই সামরিক বিমানটি সেখানে নামতে সক্ষম হয়। পানি, তাঁবু, যোগাযোগের যন্ত্রপাতি এবং বৈদ্যুতিক জেনারেটর নিয়ে গেছে বিমানটি।
তবে ওই বিমানে এক জন কোভিড পজিটিভ শনাক্ত হওয়ায় আপাতত বিমান থেকে ত্রাণ খালাস বন্ধ রয়েছে।
এদিকে নিউ জিল্যান্ডের জাহাজ এমএইচএনজেডএস অতেয়ারোয়ার শুক্রবারই টোঙ্গায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে, যেখানে থাকছে আড়াই লাখ লিটার পানি এবং একটি ডেসালিনেশন প্ল্যান্ট, যেটি সাগরের পানি থেকে প্রতিদিন ৭০ হাজার লিটার ব্যবহারযোগ্য পানি দিতে পারবে।
গত ১৫ জানুয়ারি দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের জলমগ্ন একটি অগ্নেয়গিরিতে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হলে সুনামির সৃষ্টি হয়। সুনামির প্রবল ঢেউয়ে নিকটবর্তী টোঙ্গায় অন্তত তিন জন নিহত হন, ভেসে যায় ঘরবাড়ি।
টোঙ্গার দ্বীপগুলো ঢাকা পড়ে আগ্নেয়গিরির উৎক্ষিপ্ত ছাইয়ে। বিষাক্ত ছাইয়ের কারণে গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হয়।
ছাই ও সুনামির ঢেউ বেয়ে আসা লবণাক্ত পানিতে দেশটির পানি সরবরাহ ব্যবস্থা দুষিত হয়ে পড়ে। অগ্ন্যুৎপাত ও সুনামিতে সাগরের তলদেশ দিয়ে যাওয়া কেবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দেশটি পুরো বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেছেন, এই বিপর্যয়ের মধ্যে জরুরি সহায়তা চেয়েছে টোঙ্গা, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে জাতিসংঘ।
ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের পাশাপাশি কতটা সাহায্য প্রয়োজন বুঝতে টোঙ্গার প্রায় সবগুলো দ্বীপেই পৌঁছে গেছেন কর্মীরা।
সূত্র: রয়টার্স
এসবি/