ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

সুইসকন্ট্যাক্টের সাথে ডিজিটাল হসপিটালের অংশীদারিত্ব

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ০১:৫৩ পিএম, ২১ জানুয়ারি ২০২২ শুক্রবার | আপডেট: ০৮:১৫ পিএম, ২৩ জানুয়ারি ২০২২ রবিবার

সম্প্রতি প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষদের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা পরামর্শ নিশ্চিতে নতুন প্রোগ্রাম চালুর লক্ষ্যে স্বশাসিত অলাভজনক প্রতিষ্ঠান সুইসকন্ট্যাক্টের সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে দেশের ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবায় অগ্রণী প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল হসপিটাল। 

নতুন এ উদ্যোগের আওতায়, গ্রামে বসবাসকারী রোগীদের জন্য কমিউনিটি প্যারামেডিকের (সিপি) চেম্বারে অবকাঠামোগত পরিবর্তন  আনা হবে। রোগীর অবস্থা বুঝে প্রয়োজন অনুসারে সিপি রোগীদের বিভিন্ন ই-স্পেশালিষ্টের কাছে রেফার করবেন; একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে সাহায্য করবেন, যিনি কিনা ভিডিও কলের মাধ্যমে পরামর্শ দিবেন এবং কার্যকরী প্রেসক্রিপশন ও পরামর্শ প্রদান করবেন। এই প্রোগ্রামের অধীনে একাধিক বিশেষজ্ঞ রয়েছেন।

গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে চালুর পর ডিজিটাল হসপিটাল ছয় মাসে গাইনোকোলজি, কার্ডিওলজি, মেডিসিন বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে ৮ হাজারের বেশি মানুষকে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ প্রদান করেছে। সুইসকন্টাক্টের সাথে অংশিদারিত্বের মাধ্যমে গ্রামের আরও বেশি মানুষকে সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে। মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা এবং স্বাস্থ্যসেবায় ধনী-দরিদ্র, গ্রাম-শহরের মধ্যকার ব্যবধান ঘোচানো ডিজিটাল হসপিটাল ও সুইসকন্টাক্ট উভয়েরই লক্ষ্য, কারণ প্রতিষ্ঠান দুটির বিশ্বাস প্রত্যেক মানুষেরই সুস্বাস্থ্যের অধিকার রয়েছে।   

স্বাস্থ্যসেবা লাভের ক্ষেত্রে ব্যবধান হ্রাস করতে, টারশিয়ারী স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ভিড় কমাতে এবং স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থ’াকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে গত ১০ ডিসেম্বর ডিজিটাল হসপিটাল ও সুইসকন্টাক্ট এই নতুন প্রোগ্রাম চালু করে। এই প্রোগ্রামটি স্বাস্থ্যসেবা পেতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াতের সময় ও খরচ কমিয়ে রোগীদের আর্থিক ক্ষেত্রেও সহায়তা করবে। 

ডিজিটাল হসপিটাল সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিসিও অ্যান্ড্রু স্মিথ বলেন, “বাংলাদেশের বেশিরভাগ পরিবার এবং জনগোষ্ঠীকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ পেতে ঢাকায় ভ্রমণ করতে হয় যা অত্যন্ত ব্যায়বহুল ও সময় সাপেক্ষ। এখন আমরা সেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে আসছি তাদের এলাকার স্থানীয় কমিউনিটি প্যারামেডিকের কাছে। এটি স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের হার বৃদ্ধি করবে এবং সকলেই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নিতে পারবেন। এই উদ্যোগ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে সরকারের প্রচেষ্টায় অবদান রাখবে।” 

আরকে//