ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ঢাকার বিশাল স্কোর টপকে শ্বাসরুদ্ধকর জয় খুলনার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:১৯ পিএম, ২১ জানুয়ারি ২০২২ শুক্রবার | আপডেট: ১০:৪৭ পিএম, ২১ জানুয়ারি ২০২২ শুক্রবার

নানা জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে শুরু হয়ে গেল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসর। উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মিনিস্টার ঢাকার গড়া বিশাল স্কোর টপকে শ্বাসরুদ্ধকর এক জয় ছিনিয়ে নিয়েছে মুশফিকের খুলনা টাইগার্স।

উত্তেজনাময় এ ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে তামিমের ফিফটি এবং শাহজাদ ও রিয়াদের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ১৮৩ রানের বিশাল স্কোর গড়ে মিনিস্টার ঢাকা। জবাবে আদ্রে ফ্লেচারের ঝোড়ো ২৩ বলে ৪৫ রানের ইনিংসের পর রনি তালুকদারের ফিফটি ছাড়ানো ইনিংসের উপর ভিত্তি করে এবং থিসারা পেরেরার তাণ্ডুবে ব্যাটিংয়ে ৬ বল হাতে রেখেই পাঁচ উইকেটের জয় তুলে নেয় খুলনা।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬১ রানের ইনিংস খেলেন ওয়ান ডাউনে নামা রনি তালুকদার। তাঁর ৪২ বলের এই দুর্দান্ত ইনিংসে ছিল ৭টি চারের সঙ্গে একটি ছয়ের মার। ফ্লেচারের ২৩ বলে ৪৫ রানের ওই ঝোড়ো ইনিংসেও ছিল একই রকম বাউন্ডারি। 

তবে থিসারা পেরেরার ম্যাচ জেতানো মাত্র ১৮ বলে ৩৬ রানের তাণ্ডুবে অপরাজিত ইনিংসটিতে ছিল ছয়টি দুর্দান্ত চারের মার। সঙ্গে অপরাজিত থাকা মাহেদী হাসানের ব্যাট থেকে আসে একটি চার ও ছয়ে ৫ বলে ১২ রান। অবশ্য জয় সূচক ছক্কাটিও মারেন মাহেদী। 

ঢাকার পক্ষে দুটি করে উইকেট লাভ করেন আন্দ্রে রাসেল ও এবাদত হোসাইন। এছাড়া শুভাগত হোম একটি উইকেট লাভ করেন।

এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় মিরপুরে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন খুলনার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তবে ব্যাট করতে নেমে ঢাকার দুই ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ ও তামিম ইকবাল দলকে দারুণ সূচনা এনে দেন।
 
মাত্র ৮ ওভারেই উদ্বোধনী জুটিতেই দুজনে তুলে নেন ৬৯ রান। যদিও ৯ম ওভারের প্রথম বলে সাজঘরে ফিরতে হয় শাহজাদকে। আফগান এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৭ বলের মোকাবেলায় করেন ৪২ রান, হাঁকান ৮টি চার। 

তার বিদায়ের পর রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন তামিম। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ৪১তম অর্ধশতক পূর্ণ করতে তামিম খেলেন ৪১ বল। তার দারুণ এই ইনিংসটি থামে পরের বলেই। ৪২ বলে ৫০ রানের ইনিংসে তামিম হাঁকান ৭টি চার।

এরপর নাঈম শেখ ১১ বলে ৯ ও অদ্ভুতভাব রানআউট হয়ে আন্দ্রে রাসেল ৩ বলে ৭ রান করে সাজঘরে ফিরলে ঢাকার রানের গতি কিছুটা শ্লথ হয়ে যায়। তবে উইকেটে সেট হয়ে খুলনার বোলারদের ওপর চড়াও হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

শেষ ওভারে সাজঘরে ফেরার আগে মোকাবেলা করেন ২০টি বল, তাতেই ২টি চার ও ৩টি ছক্কা হাঁকিয়ে ৩৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন অধিনায়ক। 

এছাড়া জহুরুল ইসলাম অমি ১১ বলে ১২ রান করে আউট হলেও শুভাগত হোমের ৪ বলে ৯ ও ইসুরু উদানার ২ বলে ৬ রানের ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারানো ঢাকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮৩ রান।

খুলনার পক্ষে কামরুল ইসলাম রাব্বি একাই শিকার করেন ৩টি উইকেট, যদিও ৪ ওভারে ৪৫ রান খরচ করেছেন তিনি। এছাড়া একটি উইকেট পেয়েছেন থিসারা পেরেরা। বাকি দুইটি হয় রানআউট।

এনএস//