গাছ কাটায় অভিনব প্রতিবাদ
পটুয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০২:৫১ পিএম, ২৩ জানুয়ারি ২০২২ রবিবার
“ঝাউতলায় আর গাছ নাই, আনন্দের আর সীমা নাই” স্লোগান নিয়ে বৃক্ষ নিধনে অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে পটুয়াখালীর বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রোববার সকাল ১১টায় শহরের ঝাউতলা নামক স্থানে এ প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করেন শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের বাস ভবনের সামনের সড়কে নগর উন্নয়নের নামে নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন চলছে। এর প্রতিবাদে সকাল ১১টায় শিক্ষার্থীরা অভিনব আনন্দ মিছিল করেন এবং পথচারীদের মিষ্টিমুখ করান।
এ সময়ে তারা স্লোগান দেন “ঝাউতলায় আর গাছ নাই, আনন্দের আর সীমা নাই”।
শিক্ষার্থীরা জানান, শহরের প্রাণকেন্দ্র জেলা প্রশাসকের বাস ভবনের সামনের সড়কে পৌরসভা অকারণে নির্বিচারে গাছ কেটে ফেলছে। কোন আইনের তোয়াক্কা না করেই বৃক্ষ নিধনে মেতে উঠেছে পৌর কর্তৃপক্ষ।
তবে, কি কারণে গাছ কাটা হচ্ছে তার কোন সদুত্তর দিতে পারছেন না সেখানে কর্মরত শ্রমিকরা।
গত কয়েক দিন ধরে শহরের প্রাণকেন্দ্রে দিন-দুপুরে প্রায় শতাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।
প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীরা আরও জানান, গাছ কাটা বন্ধ, দোষীদের শাস্তি এবং আরও বৃক্ষ রোপণের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার বাসভবন থেকে জানানো হয় তিনি ব্যক্তিগত সফরে দেশের বাইরে রয়েছেন।
পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জসিমউদদীন আরজু জানান, ‘এ গাছগুলো বন বিভাগ থেকে মার্কিং করার পর কাটা হচ্ছে। এ গাছগুলো কাটা হলেও একই জায়গায় অনেক বেশি গাছ লাগানো হবে। শহরকে সুন্দর করতে আরও নানা পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।’
এ বিষয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ‘পৌর কর্তৃপক্ষের অনুরোধের প্রেক্ষিতে বন বিভাগ গাছগুলো পরিমাপ করে দিয়েছে। প্রথমে ১৬৩টি গাছ কাটার কথা থাকলেও পরে ৬৩টি গাছ কাটার সুপারিশ করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, এর আগে পৌর মুসলিম গোরস্থানের শতবর্ষী শতাধিক গাছ কেটে নিলামে বিক্রি করেছিলো পটুয়াখালী পৌরসভা।
এএইচ/