নাগিন থেকে ‘পুষ্পা’ অপু!
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:২৫ পিএম, ২৩ জানুয়ারি ২০২২ রবিবার
নাগিন ছেড়ে পুষ্পা স্টাইলে নাজমুল ইসলাম অপু
একটা সময় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বড় সম্পদ ভাবা হতো তাঁকে। দলের স্পিন বোলিং আক্রমণের বড় ভরসার নাম হয়ে উঠেছিলেন নাজমুল ইসলাম অপু। জনপ্রিয় হয়েছিল তাঁর নাগিন উদযাপনও। তবে এরপরি যেন ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে শুরু করেন বাঁহাতি এই স্পিনার।
মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ ও শেখ মাহেদী হাসানদের কাছে নিজের জায়গা হারিয়েছেন অনেক আগেই। যাতে ক্যারিয়ারটা একটা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় নাগিন অপুর।
বাংলাদেশের হয়ে যে কয়টা আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন, তাতে যতটা না খ্যাতি ছিল বোলিংয়ের জন্য, তার চেয়ে বেশি আলোচিত ছিলেন নিজের বিচিত্রময় উদযাপনের জন্য। তবে শনিবার উইকেট নেয়ার পর সেই অপুকে দেখা গেল ভিন্ন এক উদযাপনে মাততে।
আগের সেই নাগিন সেলিব্রেশনকে বাদ দিয়ে অপু হয়ে উঠলেন ভারতীয় চলচ্চিত্র ‘পুষ্পা’র আল্লু অর্জুন। উইকেট নেয়ার পর দক্ষিণ ভারতের এই সুপারস্টারের মতই নিজের দাড়িতে বা হাতের পিঠ বুলিয়ে সেলিব্রেশন করতে দেখা গেল তাঁকে। যেন নাগিন থেকে পুষ্পার আল্লু অর্জুন হয়ে উঠলেন নাজমুল ইসলাম অপু।
পুষ্পা: দ্য রাইজ সিনেমাতে আল্লু অর্জুনও এক ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠে এসে হিরো বনে গেছেন। অপুর ক্যারিয়ারও এখনও অবশ্য তেমনই এক ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে। এখান থেকে তিনিও আল্লু অর্জুনের মত হিরো হয়ে উঠতে পারেন কিনা- সেটা সময়ই বলে দিবে। তবে এদিন অবশ্য তিনটি উইকেট নিয়ে সেই ইঙ্গিতই দিয়ে রাখলেন এই স্পিনার।
এদিন দল হারলেও অপুর ঘূর্ণিতে বেশ ভুগতে হয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে। ৯৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমেও রীতিমত কাঁপন ধরে গিয়েছিল কুমিল্লা শিবিরে।
এদিকে মিরপুরের উইকেটে স্পিনাররা সবসময়ই বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন। এবারের বিপিএলেও দেখা যাচ্ছে একই চিত্র। স্পিনারদের ঘূর্ণিতে দিশেহারা ব্যাটাররা। ফ্যাফ ডু প্লেসিসের মত ব্যাটারও মিরপুরের উইকেটে থিতু হতে খাবি খাচ্ছেন। চলতি বিপিএলে অবশ্য এখন পর্যন্ত দেশীয় বোলারদেরই জয়জয়কার।
বাংলাদেশের স্পিনাররা মিরপুরের উইকেটে ভালো করবেন এটাই স্বাভাবিক। তবে এখন পর্যন্ত বিপিএলে দেখা গেছে খানিকটা ভিন্ন চিত্রও। বাংলাদেশের পেসাররাও ভোগাচ্ছেন ব্যাটসম্যানদের। সবমিলিয়ে বিপিএলে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সফল বাংলাদেশের বোলাররাই।
শুধু স্পিনাররা উইকেট নিচ্ছেন- তা নয়। বাংলাদেশের বাঁ-হাতি পেসার শরিফুল ইসলাম নিয়েছেন এক ম্যাচেই ৪টি উইকেট। মুস্তাফিজুর রহমানও নিয়েছেন ২ উইকেট। আর স্পিনে মিরাজ দুই ম্যাচের একটিতেই নেন ৪টি উইকেট।
পাশাপাশি, ব্যাটেও রান পেয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। তামিম তো দুই ম্যাচেই ফিফটি হাঁকিয়ে করেছেন ১০২ রান। এছাড়া রনি তালুকদার ৬১ রান নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছেন। বিদেশীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সফল বেনি হাওয়েল। দুই ম্যাচেই ঝড় তুলে করেছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৮ রান।
এনএস//