অনশন ভাঙাতে ব্যর্থ প্রক্টর!
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:২৭ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০২২ সোমবার
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে এসে ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেছেন প্রক্টরিয়াল বডি। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ প্রক্টরিয়াল বডির কয়েকজন সদস্য অনশনকারীদের অনশন ভাঙাতে চাইলে তারা উপাচার্যের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত অনশন ভাঙবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
এসময় তারা বলেন, অনশন ভাঙার জন্য বসিনি, ভিসির পদত্যাগ জন্য অনশনে নেমেছি।
শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙতে ব্যর্থ হওয়ার পর প্রক্টর উপাচার্যের সাথে দেখা করতে চাইলে শিক্ষার্থীরা তাকে উপাচার্যের বাস ভবনের সামনে বাঁধা দেন।
এসময় প্রক্টর ড. আলমগীর কবীর বলেন, আমরা শুনেছি ভিসি স্যার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আমরা উনার জন্য কিছু ঔষধপত্র ও খাবার নিয়ে এসেছি। আমরা স্যারের সাথে দেখা করেই চলে আসবো।
প্রক্টর আরো বলেন, ভেতরে আমাদের আরেকজন শিক্ষক আছেন। উনার অবস্থাও ভালো না। করোনার উপসর্গ রয়েছে উনার শরীরে। তাকে দেখাশোনা করারও কেউ নাই। একজনের কাছ থেকে সবাই অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন।
শিক্ষার্থীদের কাছে ভিসির বাস ভবনের ভেতরের বিদ্যুৎ এর লাইন সংযোগ করে দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, গতকাল (রবিবার) থেকেই ভিসি ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। এতে স্যারের অনেক সমস্যা হচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকায় পানিও তুলতে পারছেন না। শিক্ষার্থীদের কাছে অনুরোধ করছি যাতে বিদ্যুৎ সংযোগ করার সুযোগ দেওয়া হয়।
এদিক শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা ২৮ জন শিক্ষার্থী না খেয়ে আছি। আমাদের অসুস্থতার চাইতে ভিসির অসুস্থতা বড় হয়ে গেছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা না খেয়ে থাকবে আর ভিতরে ভিসি আরাম করবে এটা হতে পারে না। আমরা কাউকে ভিতরে যেতে দিতে পারি না।
শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, ভিসি যদি অসুস্থ হলে আপনারা একজন গিয়ে দেখে আসতে পারবেন এবং হাসপাতালে নিতে হলে আমরা সুযোগ দেবো। তবে শিক্ষার্থীদের এমন বক্তব্যের পর প্রক্টর ভিসিকে দেখতে তার বাস ভবনের ভেতরে না গিয়ে চলে যান।
উল্লেখ্য, হল প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে উদ্ভূত আন্দোলন পরবর্তীতে ১৬ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টায় বিক্ষোভ মিছিলের মাধ্যমে উপাচার্য বিরোধী আন্দোলনে পরিনত হয়। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদ থেকেই এ আন্দোলনের শুরু হয়। এরপর গত বুধবার দুপুর পর্যন্ত উপাচার্যকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা। ওই সময়ের মধ্যে উপাচার্য পদত্যাগ না করায় বুধবার বিকাল ৩টা থেকে ২৩ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশন শুরু করেন। এরপর থেকেই ক্যাম্পাস স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠে। পরে গতকাল রবিবার গণ অনশনের মাধ্যমে আরো ৫ জন শিক্ষার্থী যুক্ত হয়েছেন। শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবি উপাচার্যের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানান তারা।
কেআই//