আইসিসির বর্ষসেরা পুরস্কারে পাকিস্তানের জয়জয়কার
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:১৩ এএম, ২৫ জানুয়ারি ২০২২ মঙ্গলবার
বর্ষসেরা ক্রিকেটারদের নাম ঘোষণা করেছে আইসিসি। বেশির ভাগ ফরম্যাটের পুরস্কার জিতে নিয়েছে পাকিস্তানী ক্রিকেটাররা। মোহম্মদ রিজওয়ানের টি-টোয়েন্টিতে বর্ষসেরা নির্বাচিত হওয়ার পর একই দেশের আরও দুই খেলোয়াড় সেরার পুরস্কার জিতে নিয়েছে।
২০২১ সালে ফরম্যাটভেদে উজ্জ্বল পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে পুরুষ ক্রিকেটে বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন পাকিস্তানের শাহিন শাহ আফ্রিদি। আর ওয়ানডেতে সেরা নির্বাচিত হয়েছেন বাবর আজম।
সোমবার দুপুরে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে স্যার গ্যারফিল্ড সোবার্স বর্ষসেরা পুরুষ ক্রিকেটার হিসেবে শাহিন আফ্রিদির নাম ঘোষণা করে আইসিসি। নারী ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার জিতেছেন ভারতের স্মৃতি মান্ধানা।
২০২১ সালে সবমিলিয়ে ৩৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে মাত্র ২২ গড়ে ৭৮টি উইকেট শিকার করেছেন পাকিস্তানের তরুণ বাঁহাতি পেসার শাহিন। অর্থাৎ উইকেটপ্রতি তার খরচ ছিল মাত্র ২২ রান। বছরে তার সেরা বোলিং ফিগার ছিল ৫১ রানে ৬ উইকেট।
নারী ক্রিকেটে স্মৃতি মান্ধানার বছর কেটেছে স্বপ্নের মতো। তিন ফরম্যাট মিলে ২২ ম্যাচ খেলে এক সেঞ্চুরি ও পাঁচ হাফসেঞ্চুরিতে ৮৫৫ রান করেছেন ভারতের নারী দলের এ বাঁহাতি ওপেনার। দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে দারুণ ছন্দে ছিলেন স্মৃতি।
একইদিন পুরুষ ক্যাটাগরিতে বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটারের নামও ঘোষণা করেছে আইসিসি। ওয়ানডেতে সেরা নির্বাচিত হয়েছেন ৬ ম্যাচে দুই সেঞ্চুরিতে ৪০৫ রান করা বাবর আজম।
এক বিবৃতিতে আইসিসি জানায়, ‘২০২১ সালে মাত্র ছয়টি ওয়ানডে খেলেছেন বাবর। কিন্তু বছরটিতে পাকিস্তানের খেলা দুই সিরিজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন বাবর।’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের দুটি ওয়ানডেতেই ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২৮ রান করেছিলেন বাবর। প্রথম ওয়ানডেতে ২৭৪ রানের টার্গেটে সেঞ্চুরি করেছিলেন এবং শেষ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করা দক্ষিণ আফ্রিকার ৩২০ রানের জবাবে ৮২ বলে ৯৪ রান করেন বাবর।
অপরদিকে, ইংল্যান্ডের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হারা সিরিজে একাই লড়াই করেছেন বাবর। তিন ম্যাচে ১৭৭ রান করেন তিনি। কিন্তু সিরিজে আর কোন ব্যাটারই ১শ’র বেশি রান করেননি।
বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন রুট। ২০২১ সালে ১৫ ম্যচে ১৭০৮ রান করেন তিনি। গেল বছল দুটি ডাবল সেঞ্চুরি ও চারটি সেঞ্চুরি করেন রুট। এরমধ্যে ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে সিরিজে তিনটি সেঞ্চুরি ছিলো তার।
রুট বলেন, ‘এই পুরস্কার পেয়ে আমি অবিশ্বাস্যভাবে গর্বিত। আমি বিশ্বের অনেক বিস্ময়কর খেলোয়াড়ের মতো একই কাতারে থাকতে পেরে খুশি এবং এটি বিশাল বড়।’
এছাড়া বর্ষসেরা আম্পায়ার নির্বাচিত হয়েছেন মারাইস এরাসমাস।
এএইচ/