ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

লাখ টাকা বেতনে স্বাস্থ্যকর্মীর চাহিদা বৈশ্বিক শ্রমবাজারে (ভিডিও)

সাইফ ইসলাম দিলাল

প্রকাশিত : ১২:১৬ পিএম, ২৫ জানুয়ারি ২০২২ মঙ্গলবার

করোনাকালে স্বাস্থ্যকর্মীর চাহিদা বেড়েছে বৈশ্বিক শ্রমবাজারে। ন্যূনতম লাখ টাকা বেতনে কর্মী প্রেরণে কাজ শুরু করেছে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও যুক্ত হতে চায় এই প্রক্রিয়ায়।

মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপ-আমেরিকার উন্নত দেশগুলোতে বহুদিন ধরেই স্বাস্থ্যকর্মীর সংকট রয়েছে। অতঃপর করোনার আগ্রাসন এই চাহিদা আরও প্রকট করে তুলেছে।

স্বাস্থ্যকর্মী প্রেরণে এগিয়ে থাকা ভারত, ফিলিপাইনের মতো দেশগুলো পূরণ করতে পারছে না বৈশ্বিক চাহিদা। এমন বাস্তবতায় বাংলাদেশ থেকে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী নিতে চায় কুয়েত, আরব আমিরাত, কাতার, ইতালি, জাপান, জার্মানিসহ আরও কিছু দেশ। 

এরইমধ্যে ইতালি স্বাস্থ্যকর্মীসহ বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৮০ হাজার জনবল নিতে আগ্রহ দেখিয়েছে। ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্য ও গ্রিসে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার।

বিএমইটি ডিজি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পৃথিবীতে বাংলাদেশের নার্সের চাহিদা বাড়ছে। এই চাহিদাটা পূরণের জন্য আমাদেরও প্রস্তুতি দরকার। সরকারের পক্ষ থেকে প্রচুর নার্সিং পদ সৃষ্টি হয়েছে। হাসপাতালগুলোতে নার্সের চাকরি হচ্ছে। নার্সিং পেশাটাকে মর্যাদাদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয় শ্রেণীর মর্যাদা দিয়েছেন। সুতরাং নার্সের চাকরি এখন বাংলাদেশেও জনপ্রিয়।’

বায়রা সাবেক মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, নার্সের বেশি চাহিদা আছে। খোদ জার্মানে মিলিয়ন রিকোয়্যারমেন্ট রয়েছে নার্সের। আজকে সময় আসছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে যে স্বপ্নটা আমরা দেখছি, তাতে দৃশ্যমান কোন পরিকল্পনা আসবে।’

প্রথম ধাপে স্বাস্থ্যকর্মী যাবে কুয়েতে। যাচাই-বাছাই শেষে চলছে পরীক্ষা। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় বলছে, লাখের অধিক টাকা বেতন পাবেন এসব স্বাস্থ্যকর্মী। থাকবে বিমান ভাড়াসহ আনুসাঙ্গিক সুবিধা। 

বোয়েসেল এমডি মো. বিলাল হোসেন বলেন, ‘বাইরের দেশের চাহিদার ঢেউ এখন বাংলাদেশে লেগেছে। ইতিমধ্যে কুয়েত থেকে প্রায় ৬শ’ নার্সের ডিমান্ড পেয়েছি। ইতিমধ্যে ২৮০ জন পরীক্ষা দিয়েছে। এর মধ্যে ২৪৮ জন সিলেক্ট হয়েছেন।’

জনশক্তি রপ্তানিকারকদের অভিমত, সরকারের পাশাপাশি তারাও যুক্ত হলে কাজটি আরও গতিশীল হতো। 

বাংলাদেশ নার্সিং এন্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের রেজিস্টার সুরাইয়া বেগম বলেন, ‘গভর্নমেন্ট তো সবাইকে রিক্রুমেন্ট দিবে না। তাহলে আমাদের যে এক্সেস নার্স আছে তাদেরকে আরেকটু ডেভেলভপ্ট করে বাইরে পাঠাতে পারি তবে অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে। এক্ষেত্রে নার্সিং এডুকেশনে জোড় দিতে হবে।’

এএইচ/