ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

পদ্মশ্রী প্রত্যাখ্যান সন্ধ্যা ও অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:৩৫ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০২২ বুধবার | আপডেট: ০৫:১০ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০২২ বুধবার

মোদী সরকারের কাছ থেকে পাওয়া পদ্মশ্রী সম্মাননা ফিরিয়ে দিলেন কিংবদন্তি বাঙালি গায়িকা সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। একই সম্মাননা ফিরিয়ে দিয়েছেন পণ্ডিত অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ও। অপমানবোধ থেকেই তারা পুরস্কারটি ফিরিয়ে দিয়েছেন বলে জানান। 

মঙ্গলবার বিকেলে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সন্ধ্যা মুখোপ্যাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয়। নব্বই বছর বয়সী এই শিল্পীকে বলা হয়, আমরা আগামীকাল আপনাকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করতে চাই। আপনি কি নেবেন? তাহলে অন্যান্য পুরস্কারপ্রাপ্তদের সঙ্গে আপনার নামও ঘোষণা করা হবে? ওপর প্রান্তের কথা শেষ হওয়ার আগেই স্পষ্টভাবে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় জানিয়ে দেন তিনি সম্মানটি প্রত্যাখ্যান করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সন্ধ্যার পরিবার ঘনিষ্ঠ একজন ভারতীয় গণমাধ্যমে জানান, দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট সচিবালয় থেকে তাকে ফোন করা হয়েছিল। তিনি তাদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তার মতো একজন বর্ষীয়ান শিল্পীর জন্য পদ্মশ্রী সঠিক সম্মান নয়। তার থেকে অনেক কম বয়সী শিল্পীরা এই সম্মান পেয়েছেন। সুতরাং এখন যদি তিনি এই পুরস্কার গ্রহণ করেন তাহলে তার ক্ষেত্রে তা অপমানিত বৈ অন্য কিছু হবে না। সুতরাং তার আর পদ্মশ্রীর কোন দরকার নেই। শ্রোতাদের প্রশংসাই তার কাছে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার।

সন্ধ্যার মতোই এই পুরস্কার ফিরিয়ে দেন আরেক সংগীতশিল্পী পণ্ডিত অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ও। ফারুখাবাদ ঘরানার এই তবলাশিল্পী তার নিজের জগতে ইতিমধ্যেই প্রবাদপ্রতিম। নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়, রবি শঙ্কর, আলি আকবর খান, আমজাদ আলি খানের মতো শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, তার পদ্মশ্রী পুরস্কার পাওয়ার সময় পেরিয়ে গিয়েছে। অনেক দিন আগেই তার পদ্মশ্রী পাওয়া উচিত ছিল। এখন এত দিন পরে এসে পদ্মশ্রী পাওয়াটা তার মতো প্রবীণ শিল্পীর জন্য সম্মানজনক নয়।

৬৭ বছর পেরিয়ে গেছে এই শিল্পীর। বহু যুগ ধরেই তিনি ধ্রুপদী সঙ্গীতজগতে অত্যন্ত নামকরা। তার পরে এই ঘটনায় তিনি মোটেই যে সম্মানিত বোধ করেননি, তা জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস, সংবাদ প্রতিদিন
এমএম/